ট্রাইব্যুনালে অপেক্ষমাণ দুই মামলা, বিচার চলছে ৭ আসামির

SHARE

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখন দুটি মামলার রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ (সিএভি) রয়েছে। আরো চার মামলায় সাত আসামির বিরুদ্ধে বিচার চলছে।image_112556_0

ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত ১৫ মামলায় রায় ঘোষণা করেছে। রায় ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা দুই মামলার আসামিরা হলেন-জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুস সুবহান ও জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বার (পলাতক)। ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী এ কথা জানান।

ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হওয়া চার মামলার সাত আসামি হলেন- বাগেরহাটের শেখ সিরাজুল হক ওরফে সিরাজ মাস্টার, আব্দুল লতিফ ও খান আকরাম হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সৈয়দ মো. হাসান আলী ওরফে হাছেন আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটু এবং পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিক। এদের মধ্যে আসামি হাছেন আলী পলাতক, অন্যরা কারাগারে রয়েছেন।

একটি মামলায় তিন আসামি সিরাজ মাস্টার, আব্দুল লতিফ ও খান আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে গত ৫ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। রাজাকার পলাতক হাছেন আলীর বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। একটি মামলায় আসামি চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে ১২ জানুয়ারি সুচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে ১৯ জানুয়ারি সুচনা বক্তব্য পেশ ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

এছাড়াও একটি মামলায় আসামি নেত্রকোনার মো. ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। যশোর-৬ আসনের জামায়াত দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও বর্তমানে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রিয় নেতা সাখাওয়াত হোসেন ও কিশোরগঞ্জের অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে কারাগারে আটক রয়েছেন। তাদের বিষয়ে তদন্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার ছিলো যুদ্ধপরাধীদের বিচার করা। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন মহাজোট দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। সরকার গঠনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনেই যুদ্ধপরাধীদের বিচারে সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল, তদন্তকারী সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম গঠন করা হয়। প্রথমে একটি ট্রাইব্যুনালে এ বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে এ বিচারকে ত্বরান্বিত করতে ২০১২ সালের ২২ মার্চ আরো একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। পৃথক দুটি ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলার রায় হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় সরকার গঠনের পর ট্রাইব্যুনালে ছয়টি ও আপিলে দুটি মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়।