কায়লার কারণে প্রাণ গেল বাগদাদির?

SHARE

রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্ট্যাট (আইএস) প্রধান আবু বকর আল বাগদাদিকে হত্যা করা হয়েছে। একইদিন ইরাকি টেলিভিশন ওই অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করে জানানো হয়, মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের সেই অভিযানের নাম ছিল ‘কায়লা মুয়েলার’।

জানা গেছে, ওই অভিযানের এই নামকরণ করা হয়েছে মার্কিন দাতব্য কর্মী কায়লা মুয়েলারের নামে। আর কায়লা মুয়েলার হত্যাকাণ্ডে আবু বকর আল-বাগদাদি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে বাগদাদি হত্যা মিশনের নাম রাখা হয়েছে ওই মার্কিন নারীর নামে।

মার্কিন সেনাবাহিনী বলছে, আবু বকর আল বাগদাদি কায়লা মুয়েলারকে অপহরণ করেছিলেন। এরপর তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছিলেন তিনি। তাই ওই নারীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে অভিযানটির এ নাম রাখা হয়। কায়লা মুয়েলার ২০১২ সালে সিরীয় শরণার্থীদের জন্য কাজ করতে প্রথম তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে গিয়েছিলেন। সে সময় তার বয়স ছিল ২৬ বছর।

জানা গেছে, সিরিয়ার আলেপ্পোতে ২০১৩ সালে অপহৃত হন কায়লা। এরপর দীর্ঘদিন তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার অবস্থান নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়। সে সময় কায়লা আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির অধীনে জিম্মি হয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হয়েছিল। এরপর পেরিয়ে যায় এক বছর। এক পর্যায়ে কায়লা নিহত হয়েছেন বলে খবর প্রচারিত হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৫ সালে তৎকালীন নিশ্চিত করেন, কায়েলা মুয়েলার নিহত হয়েছেন। আইএসের হাতে আটকের পর নিহত চতুর্থ মার্কিনী তিনি।

তবে কায়েলার মৃত্যু নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল।

সে সময় পেন্টাগন দাবি করেছিল, আইএসই কায়লাকে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে মার্কিন সেনাদের কয়েকজন কর্মকর্তা দাবি করেন, আবু বকর বাগদাদি নিজেই মুয়েলারকে নির্মম নির্যাতন করে এবং পরে তাকে হত্যা করেন।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকে বলা হচ্ছিল, মুয়েলারকে আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিল বাগদাদি।

এদিকে, শনিবার রাতে মার্কিন সেনাদের কায়েলা মুয়েলার অভিযানে নিহত হয়েছেন বাগদাদি। বিষয়টি নিশ্চিত করে হোয়াইট হাউজে বিবৃতিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই অভিযানকে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনীর পাঁচ বছরের লড়াইয়ের অন্যতম সাফল্য বলে দাবি করেছেন।