আজিজ মোহাম্মদের বাসা যেন বিদেশি মদের কারখানা!

SHARE

রহস্যময় ব্যবসায়ী ও চলচ্চিত্র পরিচালক আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের গুলশান-২ এর বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। রবিববার বিকেল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। অভিযান এখনো চলছে।

অভিযানে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ বিরল ও বিদেশি মদ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়িতে কয়েকটি কক্ষে একাধিক তাকে থরে থরে সাজানো বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ। যেগুলোর সব বিদেশ থেকে আনা এবং বিরল ব্র্যান্ডের। যে কেউ দেখলেই প্রথমে মনে করবে এটা যেন মদের গোডাউন।

বসবাসের ঘরে এত বিপুল পরিমাণ মদের মজুদ দেখে রীতি মতো হতবাক অভিযান পরিচালনাকারীরা।

মাদকদ্রব্য ছাড়াও ক্যাসিনো খেলার নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে তার বাড়ি থেকে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, অভিযানে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাসার ভেতরে ক্যাসিনো ও ছাদে মিনি বার পাওয়া গেছে। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ মদের বোতল ও সীসার উপকরণ পাওয়া গেছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রহস্যময় ব্যাক্তিদের তালিকা করলে তালিকার প্রথমদিকেই থাকবে যাদের নাম তাদের একজন এই আজিজ মোহাম্মদ ভাই। যাকে নিয়ে আছে নানা গল্প, নানা রহস্য। আর এসব গল্পের বেশিরভাগই চলচ্চিত্র জগতের নারী ও হত্যা কেন্দ্রিক। এসব গল্পের কতটুকু সত্য আর কতটুকু মুখরোচক মিথ্যা সে নিয়েও আছে নানা মত।

বর্তমানে থাইল্যান্ডে বসবাসরত রহস্যময় এই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হত্যা ও মাদক পাচারসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর অপরাধে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ৫০টির মতো চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন তিনি।

১৯৪৭ এ দেশভাগের পর তাদের পরিবার ভারতের গুজরাট থেকে বাংলাদেশে আসে। ধনাঢ্য এই পরিবার পুরান ঢাকায় বসবাস শুরু করে।

১৯৬২ সালে আজিজ মোহম্মদ ভাইয়ের জন্ম হয় আরমানিটোলায়। আজিজ মোহাম্মদ ভাই তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইস্পাত প্রযোজকের পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত ছিলেন।

তিনি সার্ক চেম্বার অব কমার্সের আজীবন সদস্য। অলিম্পিক ব্যাটারি, অলিম্পিক বলপেন, অলিম্পিক ব্রেড ও বিস্কুট, এমবি ফার্মাসিটিউক্যাল, এমবি ফিল্ম ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই।