সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ৩০ অক্টোবর

SHARE

গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করা শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণও সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো। রবিবার ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর সাক্ষ্য দেন। তিন কার্যদিবসে আসামি পক্ষে তাকে জেরা করা হয়। পরে বিচারক মো. মজিবুর রহমান সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে আগামী ৩০ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থনের তারিখ ধার্য করেন।

আইনজীবীরা জানান, আগামী ধার্য তারিখে আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিতে পারবেন। তারা মৌখিক বা লিখিত আকারে তাদের বক্তব্য পেশ করতে পারবেন। এরপরই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য হবে। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণা হবে।

গত বছর ২৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহতম জঙ্গি হামলা মামলার বিচার শুরু হয়। এর আগে গত বছর ২৩ জুলাই এই মামলায় আট জীবিত জঙ্গিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়।

চার্জশিটে যে আটজনকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- গাইবান্ধার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, নওগাঁর আসলাম হোসেন ওরফে আসলামুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ওরফে র‌্যাশ, কুষ্টিয়ার আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, জয়পুর হাটের হাদীসুর রহমান ওরফে সাগর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, বগুড়ার রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, বগুড়ার মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও রাজশাহীর শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ। মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ পলাতক রয়েছে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে আছে। অন্য ছয়জন কারাগারে আছে।

এ মামলায় অভিযুক্ত সবাই নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলে চার্জশিটে বলা হয়েছে। আটজনকে অভিযুক্ত করা হলেও হলি আর্টিজানের ঘটনার সঙ্গে ২১ জঙ্গির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন ঘটনার সময় ঘটনাস্থলেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিহত হন। অন্য আটজন জঙ্গি বিরোধী বিভিন্ন অভিযানে নিহত হন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার সময় হলি আর্টিজান বেকারিতে অতর্কিতে আক্রমণ করে পাঁচ জঙ্গি। তারা ভেতরে থাকা সবাইকে জিম্মি করে। একে একে গুলি চালিয়ে, কুপিয়ে ১৭ বিদেশি ও তিনজন বাংলাদেশিকে হত্যা করে। সেখানে তাৎক্ষণিক অভিযান চালাতে যায় র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানকারীদের দিকে বোমা হামলা চালায় ওই পাঁচ জঙ্গি। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। আহত হন র‌্যাব-১ এর তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মাসুদ, পুলিশের গুলশান অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবদুল আহাদসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য।