একটানা দুই বছর বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমা ধরে রাখার পর গত বৃহস্পতিবার তা খুইয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। এদিন শেয়ারবাজারে অ্যামাজনের বড় ধরনের পতন হওয়ায় আবারো ধনীর তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বিল গেটস। তবে অ্যামাজনের শেয়ারমূল্য বাড়লে দু-একদিনের মধ্যেই আবার শীর্ষস্থানে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে বেজোসের।
যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের শেয়ারবাজারে ৭ শতাংশ দরপতন হয় অ্যামাজনের। এতে বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ কমে ১০৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়। অপর দিকে, বহু বছর শীর্ষ ধনীর তকমা ধরে রাখা বিল গেটসের মোট সম্পদের পরিমাণ একই সময়ে ছিল ১০৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৮ সালে শীর্ষ ধনীদের তালিকায় প্রবেশ করলেও ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বের একনম্বর ধনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ৫৫ বছর বয়সী বেজোস। সম্প্রতি বিয়ে বিচ্ছেদের কারণে সাবেক স্ত্রী ম্যাককেনজি বেজোসকে ৩২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার দিতে হয়। এতে তিনিও শীর্ষ ধনীর তালিকায় চলে আসেন। অপর দিকে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ১৬০ বিলিয়ন ডলারের মালিক হওয়া বেজোসের সম্পদের পরিমাণ অনেক কমে যায়। এছাড়া অ্যামাজনের শেয়ার ও আয়ের পরিমাণও ধারাবাহিকভাবে কমছে।
এদিকে ১৯৮৭ সালে শীর্ষ ধনীদের তালিকায় প্রবেশ করা বিল গেটস কয়েক বছর ধরে এক নম্বরে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন। ২০০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী ১২ বার শীর্ষ ধনীর তকমা পান তিনি। এর বাইরে সবসময়ই শীর্ষ তিনের মধ্যেই থেকে গেছেন ৬৪ বছরে পা দিতে যাওয়া এই ব্যবসায়ী। বিল গেটস তার দাতব্য ফাউন্ডেশনে ৩৫ বিলিয়ন ডলার দান করলে সম্পদের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়।