ইতালি আঃলীগে নবনির্বাচিত সভাপতি জাহাঙ্গীর ফরাজী ও সাধারন সম্পাদক এম এ রব মিন্টুকে পেয়ে উজ্জীবিত ইতালী আঃলীগের নেতার্মীরা

SHARE

ইতালি প্রতিনিধি। ইতালি আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সভাপতি জাহাঙ্গীর ফরাজী ও সাধারন সম্পাদক এম এ রব মিন্টুকে পেয়ে ইতালী প্রবাসী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইতালীর রোমে বাংলাদেশী অধ্যুষিত তরপিনাত্তারা পিসিআই হলে ইতালী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলি আহাম্মদ ঢালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারন সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের সর্বসম্মতিক্রমে পূর্বের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে এই নতুন কমিটি করা হয়। কমিটি গঠনের পর পরই উল্লাসিত নেতাকর্মীরা নবনির্বাচিত কমিটিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। ইতালী মহিলা লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইতালী শাখা, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ইতালী শাখা, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ইতালী শাখা, রোম মহানগর আওয়ামী লীগ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ইতালীসহ বিভিন্ন আওয়ামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে নবনির্বাচিত সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর ফরাজী ও সাধারন সম্পাদক এম এ রব মিন্টুসহ অন্যান্যকে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া তাৎক্ষণিক ইতালীর বিভিন্ন প্রভিন্সের শাখা কমিটির নেতৃবৃন্দ নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে টেলিফোনে শুভেচ্ছা জানান। উল্লেখ্য দীর্ঘ নয় বছর যাবত মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে দায়সারা ভাবে চলছিল ইতালী আওয়ামী লীগ।
বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি জনাব ইদ্রিস ফরাজী দীর্ঘ ৬ বছর যাবত নিয়মিত দেশে অবস্থান করছেন। তিনি শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও এরআরবি ব্যাংকের রিস্ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ঢাকায় অবস্থান করে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইতালী আওয়ামী লীগের পদ না ছেড়ে জ্যাষ্ঠ সহ সভাপতি আলি আহাম্মদ ঢালীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে যান। আলি আহাম্মদ ঢালী তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। ইদ্রিস ফরাজী শুধু প্রধানমন্ত্রী অথবা কোন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আসলে তিনি সভাপতিত্বের আসনের জন্য ইতালিতে আসেন।
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত দালালীতে অভিযুক্ত হন। তার আপন সহদরকে ইতালীস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসে নিয়োগ দিয়ে এই বানিজ্য করেন বলে প্রবাসীরা ব্যপকভাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করে। এর প্রেক্ষিতে কিছুদিন পূর্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে একটি তদন্ত দল দূতাবাস পরিদর্শন করেন। এসব কারনে তিনি ইতালী আওয়ামী লীগে বিতর্কিত হয়ে পড়েন।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে প্রধান মন্ত্রীর প্রোগ্রামে বক্তৃতার সুযোগ দিয়ে মোটা অংকের ইউরো হাতিয়ে নেন। যার কারনে ত্যাগী নেতাকর্মীরা তাকে সাধারন সম্পাদক হিসেবে মানতে নারাজ। এমনকি জনাব হাসান ইকবাল যে সব কর্মসূচীতে উপস্থিত থাকত সেখানে কয়েকজন মহিলা ও হাতেগোনা কয়েকজন ব্যতিত সিংহভাগ নেতাকর্মীরা অনুপস্থিত থাকত। দীর্ঘ নয় বছরের কমিটির এক তৃতীয়াংশ ইতালীয় পাসপোর্ট পেয়ে ইংল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। এসব কারনে ঝিমিয়ে পড়ে ইতালী আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অসহায় হয়ে পরে। তারা দীর্ঘ ৫বছর যাবত সম্মেলনের দাবী করে আসছে। কিন্তু নাছোড় বান্দা ইদ্রিস ফরাজী ও হাসান ইকবাল জোট পাকিয়ে সম্মেলন দিতে গড়িমসি করেন। এবং বলে বেড়ান এই কমিটি আরো পাঁচ বছর থাকবে। যার ফলে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। তাদের অব্যাহত চাপে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলি আহাম্মদ ঢালী সাধারন সভা ডাকতে বাধ্য হন। সেখানে হাসান ইকবালের উপস্থিতির কথা থাকলেও তিনি তৃণমূলের ক্ষোভের কারনে অনুপস্থিত থাকেন। সাধারন সভায় সভাপতির দীর্ঘ ৫বছর অনুপস্থিতি, সাধারন সম্পাদকের বিএনপি কানেক্শন ও বিভিন্ন দূর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন নেতাকর্মীরা। তারা এ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি করার দাবীতে অনঢ় থাকে। পরে উপস্থিত নেতাকর্মীদের চাহিদার গুরুত্ব দিয়ে নয় বছরের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এতে উজ্জিবিত হয় নেতাকর্মীরা। যে সকল ত্যাগী নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না তারা এখন এই নতুন কমিটির মাধ্যমে আবার সক্রি হয়েছে। বিভিন্ন প্রভিন্স কমিটিও অভিযোগ জানেিয়ছে সভাপতি জাহাঙ্গীর ফরাজী ও এম এ রব মিন্টুর কাছে।
এব্যাপারে নবনির্বাচিত নেতৃদ্বয় জানিয়েছেন “দীর্ঘ দিনের কুক্ষিগত ইতালী আওয়ামী লীগকে একটি অশুভ চক্রের হাত থেকে ইতালীর তৃণমূলককর্মীা মুক্ত করেছে। আমরা সকল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতেই ইতালী আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করব ইনশাল্লাহ। কমিটিতে নতুনদের অগ্রাধিকার দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল কার্যক্রম প্রবাসে বাস্তবায়ন করা হবে। তার দূর্নীতি বিরোধী অভিযান এগিযে নিয়ে যাব।”