সৌদি শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত করতে আন্দোলনের ডাক দিলেন নির্বাসিত যুবরাজ

SHARE

জার্মানিতে নির্বাসনে থাকা সৌদি শাসক পরিবারের যুবরাজ খালেদ বিন ফারহান আল সৌদ শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত করতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে আহ্বান জানান। ৪১ বছর বয়সী সৌদি যুবরাজ ফারহান আল সৌদ বলেন, যখন মোহাম্মদ বিন সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তখন থেকেই শাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে।

ফারহান আল সৌদ বলেন, সৌদি বাদশাহ এবং তার ছেলে আন্তর্জাতিক, মুসলিম ও আরব অঙ্গনে দেশটির মর্যাদা ও সুনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তাদের শাসনামলে সৌদি আরব ইহুদিবাদীদের কাছে ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, সৌদি শাসক ‘নিয়ন্ত্রণহীনভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করছে এবং উস্কানিমূলকভাবে অনেক কিছুই ধ্বংস করছে।

তিনি সৌদি আরবের রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, রিয়াদের ক্ষমতাসীন সরকার আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ সব কাজগুলোই করছে। ভিন্ন মতাবলম্বীদের তারা সব ধরনের উপায়ে নির্যাতন করছে। তিনি বলেন, বিন সালমান তার চাচাত ভাইদের ওপর আক্রমণ করেছে। পরে তাদরে কারাগারে আটকে রেখেছে। শাসক পরিবারের সদস্যদের কোথাও যাতায়াত করতে বাধা দেওয়া হয়। রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে মোহাম্মদ বিন সালমান।

তিনি আরও বলেন, গত তিন বছরে দেশটির অস্ত্র ক্রয়ের বৃদ্ধির পিছনে ছিলো মোহাম্মদ বিন সালমান। অস্ত্র ক্রয়ের টাকার পরিমাণ দেশটির মোট বাজেটের প্রায় এক তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

দরিদ্র ও প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের সামরিক অভিযানের দিকে ইঙ্গিত করে ফারহান আল সৌদ বলেন, ইয়েমেনে সৌদি আরবের পরাজয় হয়েছে। এর মূল কারণ হলো সেনাবাহিনীর সামরিক মতবাদ এই যুদ্ধের বৈধতা স্বীকার করে না। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ইয়েমেনে অন্যায়ভাবে আক্রমণ করে সৌদিকে নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

নির্বাসিত সৌদি যুবরাজ বলেন, সৌদি আরবে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, প্রধানমন্ত্রী ও সরকার নিয়োগের জন্য নির্বাচন আয়োজন, বর্তমান কর্মকর্তাদের পদচ্যুত করার এবং দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার আন্দোলন চালিয়ে যাব আমি। দেশটিতে বিরজমান বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়া দরকার।