বাংলাদেশের সমর্থনে আবারও নামল বৃষ্টি

SHARE

৩৯৮ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস সূচনা করেন লিটন দাস আর সাদমান ইসলাম। বিনা উইকেটে ৩০ রান তুলে দুপুর ১টায় মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। আধঘণ্টা পর খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও লাঞ্চের মাঝেই নেমে আসে বৃষ্টি। আসলে বৃষ্টি ছাড়া বাংলাদেশের পরাজয় এড়ানোর তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই বাংলাদেশের আজ বড় সমর্থক বৃষ্টি। এখন দেখার, আরও দেড় দিন মাঠ দখল করে রেখে ম্যাচটাকে ড্রয়ের দিকে নিতে পারে বৃষ্টিদেবী।

আজ ম্যাচের চতুর্থ দিন বৃষ্টির কারণে পৌনে তিন ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। এর কিছু সময়ের মাঝেই শেষ দুই ব্যাটসম্যান ইয়ামিন আহমেদজাই (৯) এবং জহির খান (০) ফিরলে ২৬০ রানে অল-আউট হয় আফগানিস্তান। আফসার জাজাই অপরাজিত থাকেন ৪৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামা আফগানিস্তান গতকাল শুরুতেই বিপদে পড়েছিল। দলীয় মাত্র ৪ রানে পরপর দুই বলে দুই শীর্ষ ব্যাটসম্যান ইহসানুল্লাহ (৪) এবং প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহ (০) প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। সৌজন্যে সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি।

দলীয় ২৮ রানে হাসমতুল্লাহ শহিদীকে (১২) সৌম্য সরকারের তালুবন্দি করেন নাইম হাসান। শুরুর এই সাফল্য ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশি বোলাররা। শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন ইব্রাহিম জারদান এবং আসগর আফগান। চতুর্থ উইকেটে এই দুজন গড়েন ১০৮ রানের জুটি। ১০৮ বলে ৫০ রান করা আসগরকে তাইজুল ইসলাম ফেরালে এই জুটির পতন হয়। তরুণ অফ স্পিনার নাইম হাসানের বলে মুমিনুল হকের তালুবন্দি হয়ে শেষ হয় ইব্রাহিম জারদানের ২০৮ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।

অল-রাউন্ডার মোহাম্মদ নবি ৮ রান করে মিরাজের বলে ধরা পড়েন মুমিলুলের হাতে। ২২ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা অধিনায়ক রশিদ খান শিকার হন তাইজুল ইসলামের। এর আগে আফগানদের ৩৪২ রানের জবাবে ২০৫ রানেই অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। তাছাড়া চট্টগ্রামে বাংলাদেশ চতুর্থ ইনিংসে কখনোই রান তাড়া করে জিততে পারেনি।