ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া অস্বচ্ছল পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

SHARE

এবারে ডেঙ্গুর মাত্রা আমাদেরকে নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা কেউই আগে অনুমান করতে পারেননি। অভিজ্ঞতার অভাব থাকলেও সরকার ডেঙ্গু মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সফলতা বিফলতার কথা না ভেবে; আমরা বলতে চাই ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছে। ঈদ পরবর্তীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতি না হয়ে বরং অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে যাওয়ার যে আশংকা ছিল তাও ঘটেনি। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মারা যাওয়া অস্বচ্ছল পরিবারের কেউ চাইলে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদেরকে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আজ শুক্রবার এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

এসময় এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু আজ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি এখন সারা বিশ্বের সমস্যা। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ম্যালাথিয়ন ছাড়াও এখন আমরা আরো কার্যকর ওষুধ খুঁজছি। শুধু ওষুধ প্রয়োগ করলেই হবে না তা যেনো কোনোভাবেই জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে না দাঁড়ায় আমরা সে বিষয়টিও ভাবছি। এডিস মশা নিযন্ত্রণে শুধু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হচ্ছে না, সরকারি অফিসগুলোও যাতে সঠিক দায়িত্ব পালন করে এ ব্যাপারে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমরা সফল না; এ কথা সঠিক নয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় সমান নম্বর পাওয়ায় অংশগ্রহণকারী ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি উভয় দলকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হয়।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক জান্নাতুল বাকেয়া কেকা, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান রাহী, সাংবাদিক আতাউর রহমান কাবুল, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জাহিদ রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।