এবার কি তাহলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গোর্খাল্যান্ড আলাদা হয়ে যাবে?

SHARE

কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল হতেই এবার পশ্চিমবঙ্গ ভাগের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই জল্পনা আরো উসকে দিলেন ‘গোর্খাল্যান্ড’-এর দাবিতে সরব হওয়া বিমল গুরুঙ্গ। পলাতক থাকা অবস্থায় বিমল গুরুঙ্গ মোদি সরকারকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। সেই সঙ্গে উসকে দিলেন গোর্খাল্যান্ড প্রসঙ্গ।

বিরোধী অনেক পক্ষ আগে থেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছে, মোদি সরকারের গঠকারিতার কারণে প্রাদেশিকতা মাথাচাড়া দিতে পারে। সেই আশঙ্কা যেন আরো জোরদার করলেন গুরুঙ্গ।

গোপন আস্তানা থেকে মোদি সরকারের এই পদক্ষেপের জন্য শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে গুরুঙ্গ বলেন, কেন্দ্র সরকারকে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি দার্জিলিংয়েও এভাবে সমস্যার সমাধান হবে। দার্জিলিংকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করলে, সেটা অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ হবে।

গুরুঙ্গর এই দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন পাহাড়ের বাকি দলগুলোর নেতারাও। এমনকি তৃণমূলপন্থী মোর্চা নেতা বিনয় তামাংও ওই দাবি সমর্থন করছেন।

তাদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গকে ভেঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ড তৈরি করতে হবে এবং নবগঠিত গোর্খাল্যান্ডকে বিধানসভা-সহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দিতে হবে।

গুরুঙ্গর সঙ্গে বিজেপির এখন অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। সেই সম্পর্ককেই কাজে লাগাতে চান তিনি। আর তাতে যোগ দিচ্ছেন বাকি নেতারাও। আর তাতেই পশ্চিমবঙ্গের আকাশে ভাঙনের ভ্রুকুটি।

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এক নেতা বলেন, আমরা অনেক বছর ধরে আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবি জানিয়ে আসছি। বিজেপির ইশতেহারেও সে কথা উল্লেখ রয়েছে। বিমল গুরুং এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, আমরা মনে করি এটাই সঠিক সময় গোর্খাল্যান্ডকে বিধানসভা-সমেত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার। আমরা এই দাবিতে দ্রুত আন্দোলনে নামছি।