সামরিক দিক থেকে ব্রিটেনের চেয়ে শক্তিশালি ইরান!

SHARE

সামরিক শক্তিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্রিটেনের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার নামে একটি গ্রুপের তথ্যের ভিত্তিতে ব্রিটিশ পত্রিকা ‘ডেইলি এক্সপ্রেস’ এর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রেডিও তেহরান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পত্রিকাটি দু’দেশের সামরিক শক্তির তুলনামূলক একটি চিত্র তুলে ধরেছে এবং তাতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরানি সামরিক বাহিনী ব্রিটিশ বাহিনীর চেয়ে শক্তিশালী।

পত্রিকাটি আজ (শনিবার) বলেছে, দু দেশের সামরিক শক্তির তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে- সেনাসংখ্যা, ভূমি, নৌশক্তি ও জ্বালানি শক্তির বিচারে ব্রিটেন ইরানের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- যেসব সাধারণ মানদণ্ডের ভিত্তিতে সম্ভাব্য সামরিক শক্তি তুলনা করা হয় তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্রিটেনের চেয়ে ইরান ভালো অবস্থানে আছে।
ডেইলি এক্সপ্রেস বলছে, সেনাসংখ্যা, কম্ব্যাট ট্যাংক, নৌ ও গোলন্দাজ সম্পদের দিক দিয়ে ইরান এগিয়ে। এছাড়া, ইরানের হাতে রয়েছে প্রায় চার কোটি জনশক্তি, যারা যুদ্ধ করতে সক্ষম। এ সংখ্যা ব্রিটেনের যুদ্ধ-সক্ষম জনশক্তির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।

ডেইলি এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, জ্বালানি তেল হচ্ছে যে কোনো সামরিক অভিযানে টিকে থাকার জীবনশক্তি; সে জায়গায় ইরান ব্রিটেনের চেয়ে অনেক এগিয়ে। ব্রিটেনের প্রতিদিন যে পরিমাণ তেলের উৎপাদন তার চেয়ে ইরানের উৎপাদন পাঁচগুণ বেশি। অবশ্য, ব্রিটেনের চেয়ে বিমান শক্তিতে ইরান পিছিয়ে রয়েছে, তবে এ তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়। ইরান ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্ভাব্য সামরিক সংঘাতের আশংকা থেকে ব্রিটিশ পত্রিকা এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

গত ৪ জুলাই জিব্রাল্টার প্রণালী থেকে ইরানের একটি তেলবাহী সুপার ট্যাংকার আটক করে ব্রিটিশ মেরিন সেনারা। এরপর গত সপ্তাহে পারস্য উপসাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলারে ধাক্কা দেয়ার কারণে ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকার আটক করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। এসব ঘটনায় দু দেশের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজনা বিরাজ করছে।