উচ্চবর্ণের মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে; অতঃপর কুপিয়ে হত্যা

SHARE

ভারতের গুজরাটের আমেদাবাদ জেলার ভারমর গ্রামে অন্য জাতের মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন এক যুবক। কিন্তু তাদের সংসার করতে দেয়নি মেয়ে পক্ষ। জামাইকে কুপিয়ে মারে শ্বশুরবাড়ির লোক। সোমবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দলিত সম্প্রদায়ের হরেশ সোলাঙ্কি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন উচ্চবর্ণের ঊর্মিমালা বেনের সঙ্গে। ছ’মাস আগে মা-বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে সোলাঙ্কি বিয়ে করেছিলেন ঊর্মিমালা বেনকে। তারপরেই তাকে নিয়ে নিজের বাড়ি গান্ধীধাম চলে আসেন সোলাঙ্কি। যেখানে থাকেন সোলাঙ্কির বাবা-মাও। ঊর্মিমালার পরিবার বিয়েতে রাজি না থাকলেও এই বিয়ে মেনে নিয়েছিলেন সোলাঙ্কির পরিবার।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, মেয়ের পরিবার চেয়েছিলেন এই বিয়ে ভেঙে দিতে। তারা তাদের মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিছুতেই তাকে ফিরিয়ে আনতে পারছিলেন না। তারা মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে তাকে বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। এরপরেই পরিবারের কথা মতো ভারমর গ্রামের বাড়িতে কথা বলতে যান ঊর্মিমালা বেন।

এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে আরো একটি ঘটনা। ঊর্মিমালা ভারগ্রামে যাওয়ার পরে স্ত্রীর সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগই করতে পারছিলেন না সোলাঙ্কি। তার মা-বাবা চাইছিলেন তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে। নিজের ভাবি সন্তানের জন্যও চিন্তায় ছিলেন তিনি। এই ঝামেলা মেটাতে মহিলা সহায়তা কেন্দ্রের শরণাপন্নও হয়েছিলেন সোলাঙ্কি। পরে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুরবাড়ি রওনা দেন মহিলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মকর্তার সঙ্গে। ঊর্মিমালার বাড়ির সামনে পৌঁছাতেই গাড়ির ভিতর অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই সময় ঊর্মিমালার এক নিকট আত্মীয় এসে খবর দেন, সোলাঙ্কি গাড়ির ভিতর বসে আছে। আর একথা শোনা মাত্রই বাড়ির ভিতর থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছুটে যান বাড়ির সদস্যরা। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথায় গুরুতর চোট পান সোলাঙ্কি। সেই সঙ্গে শরীরের বাকি অংশগুলিতেও গুরুতর চোট পান। আঘাত সহ্য করতে না পেরে তখনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

এই ঘটনায় আট জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।