অন্তর্বর্তী কোচ হতে আগ্রহী নন সুজন

SHARE

স্টিভ রোডসকে সমঝোতার ভিত্তিতে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের পরেই গুঞ্জন শুরু হয় খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়ে। শ্রীলঙ্কা সফরের আর ২ সপ্তাহও বাকি নেই।। এই অল্প কয়েকদিনে স্থায়ী কোচ খুঁজে পাওয়া না গেলে দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনকেই অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে- এমন একটি গুঞ্জন চলছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। কিন্তু জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার অন্তর্বর্তী কোচ হওয়ার ব্যাপারে নিজেই আগ্রহী নন।

অন্তর্বর্তী কোচ হওয়ার ব্যাপারে সুজন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এ নিয়ে আমাকেও চিন্তা করতে হবে। বারবার এক সিরিজের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব নিতে চাই না। সেটা আমার জন্য ঠিক হবে না। তবে কোচিং যেহেতু আমার একটি পেশা, আমি সব সময় প্রস্তুত থাকি। বোর্ড একবার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। আমি আবারও অস্থায়ী পদে কাজ করব কি না এটাও একটা কথা। বোর্ডও আমাকে সেভাবে চিন্তা করবে কি না এটাও একটা কথা।’

তাহলে নিশ্চয়ই কোচ ছাড়া শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে না বাংলাদেশ। নতুন কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যাপারেও মুখ খুলতে রাজী নন সুজন, ‘আমি কোচিং নিয়ে কথা বলব না কারণ আমি কোচিংয়ের অংশ নই। আমি পুরো দলের ম্যানেজার। আমরা সঠিক সময়ে কোচ পেয়ে যাব আশা করছি। ভালো কোচ আনার চেষ্টা করছে বিসিবি থেকে। আমি বিশ্বাস করি বিশ্বকাপ শেষে অনেক কোচের চুক্তি শেষ হবে। আমরা যদি স্বল্প সময়ের মধ্যে এটা করতে পারি তাহলে ভালো কোচ আসতে পারে।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার। তাকে নিয়ে সমালোচনাও ছিল ব্যাপক। এরপর শ্রীলঙ্কার মাটিতে নিদাহাস ট্রফিতে ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পান তখনকার পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।