পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী গত জুন মাসে ওই এলাকায় ৩০ জন সন্ত্রাসী গ্রেফতার, চারটি দেশীয় অস্ত্র ও ছয় রাউন্ড অ্যামোনেশন উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও গুরুতর অসুস্থ পাঁচ জন বেসামরিক উপজাতিকে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল থেকে হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম সিএমএইচ এনে উন্নত চিকিত্সা দেওয়া হয়। একই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
আজ মঙ্গলবার আইএসপিআর এসব তথ্যসহ জুন মাসে সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানায়, গত ১৬ জুন সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের সেনাসদর কনফারেন্স হল (হেলমেট) এ ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৯’ এর উদ্বোধন হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পর্ষদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির লক্ষ্যে পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত এ পর্ষদের কার্যক্রমের মাধ্যমে কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং লে. কর্নেল থেকে কর্নেল পদবিতে পদোন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত এ পর্ষদের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য যোগ্য ও দক্ষ অফিসাররা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন।
এছাড়া গত ২২ জুন জাতীয় সংসদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া’র নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এলাকা পরিদর্শনের লক্ষে ডিআর কঙ্গো যান।
গত ২৬ জুন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক পরিদর্শন করেন। তিনি সেদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, এসআরএসজি ও ফোর্স কমান্ডারের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব, মানবিক গুনাবলী ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
দেশটির প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধান বাংলাদেশ সেনাবপ্রধানকে তাঁদের নবগঠিত সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এই প্রস্তাবটি আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেন এবং তাত্ক্ষণিকভাবেই সে দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ মেডিক্যাল কন্টিনজেন্টকে প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেন।
এছাড়াও তিনি সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের সেনাবাহিনীর অফিসার ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যদের ব্যক্তিগত ও দলগত প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ইংলিশ ভাষা শিক্ষা প্রশিক্ষণ সহায়তারও প্রস্তাব দেন।