৯ ম্যাচে ১২ উইকেট। গড়ে দেড়টিও নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খুব কি ভালো মেহেদী হাসান মিরাজের পারফরম্যান্স? তবে যে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কথায় ফুটে উঠল মিরাজের প্রতি নির্ভরতার কথা!
উইকেটের দিকে না তাকিয়ে মিরাজের ইকোনমি রেটের দিকে তাকান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সোমবারের ম্যাচে তাঁর কাছ থেকে আসলেই বাড়তি কিছু আশা করবেন সেটি দেখলে। ৩১ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে তাঁর ইকোনমি রেট যেখানে ৪.৪৮, সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা ওই ৯ ওয়ানডেতে ৩.৮৬। গত বছরের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে শুরু করে ডিসেম্বরের হোম সিরিজ এবং আয়ারল্যান্ডে সর্বশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজেও মিরাজকে ঠিকভাবে খেলতে পারেননি ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানেরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরাজের উইকেটে অবশ্য সেটির প্রতিফলন নেই। ৯ ম্যাচের আটটিতেই পেয়েছেন ১ উইকেট করে। একবার শুধু ৪ উইকেট পেয়েছেন, গত বছর সিলেটে। কিন্তু টন্টনে যে রান আটকে রাখার চেয়ে উইকেট নেওয়াটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। মাঠ ছোট, ব্যাটসম্যানদের ড্রেসিংরুমের দিকে যাওয়া-আসার মিছিলটা নিয়মিত বিরতিতে না হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান আটকে রাখা কঠিনই হবে বাংলাদেশ দলের বোলারদের জন্য।
অধিনায়ক মাশরাফি তবু আশাবাদী মিরাজকে নিয়ে, ‘আমরা অফ স্পিনার নিয়ে খেলে ওদের সঙ্গে বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছি। সুতরাং এটা নিয়ে আমাদের ভালোভাবে ভাবতে হবে। গত কয়েকটি ম্যাচে মিরাজ ওদের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছে। তা ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম পাঁচজনই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক একটা ব্যাপার।’
মিরাজ ছাড়া দলের অন্য বোলারদের ওপরও অধিনায়কের বেশ আস্থা। টন্টনের মাঠ ছোট বলে ক্যারিবীয় ‘পাওয়ার হিটার’দের সামনে বোলারদের কাজটা কঠিন হতে পারে। আজ সমারসেট মাঠের সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক তবু বললেন, ‘বোলাররা কঠিন পরিশ্রম করছে। ওরা ইতিবাচকভাবেই খেলছে। গত দুই-তিনটি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমাদের বোলিং চমৎকার হচ্ছে।’
এবারও কি বোলাররা পারবেন অধিনায়কের প্রত্যাশা মেটাতে? সে প্রত্যাশার বেশির ভাগটা অবশ্য মিরাজের কাছেই।