বিশুদ্ধ পানি , পয়ঃব্যবস্থা ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নবজাতক ও মাতৃমৃত্যুর হার বাড়ছে। সম্প্রতি বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ‘প্লাস মেডিসিনে’ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা খাতে উন্নয়ন সত্ত্বেও নিরাপদ পানির অভাব, পরিচ্ছন্নতার অভ্যাসের চর্চা না থাকা এবং পর্যাপ্ত টয়লেটের অপ্রতুলতার কারণে এখনও নিম্ম আয়ের দেশগুলেোতে নবজাতক ও মায়েদের মুত্যু হচ্ছে। ২০১৩ সালে প্রসবকালীন জটিলতা ও সন্তান জম্মদানের সময় বিশ্বে প্রায় ২ লাখ ৮৯ হাজার নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিরাপদ পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা ও পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা থাকলে এ হার আরও কমানো যেতো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ৫৪টি নিম্ম আয়ের দেশে প্রায় ৪০ শতাংশ স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কোন ব্যবস্থা নেই।
প্রতিবেদনটির লেখক লন্ডন স্কুল অভ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের শিক্ষক লেঙ্কা বিনোভা জানান, যে বিষয়টি হতাশাজনক সেটি হচ্ছে, বিশুদ্ধ পানি, ন্যূনতম টয়লেট সুবিধা ও পরিচ্ছন্নতার চর্চা থাকলে সংক্রমণজনিত এসব মৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব ছিল।
ওয়াটার এইডের পয়ঃব্যাবস্থা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্যেষ্ঠ নীতি পর্যালোচক ইয়ায়েল ভেল্লেমান জানান, প্রসবকালে পরিষ্কার পানি ও পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব সেই ভিক্টোরিয়ান যুগ থেকেই আমরা জানি। তারপরও ডাক্তার ও ধাত্রীর উপস্থিতি সত্ত্বেও লক্ষাধিক মা এমন জায়গায় সন্তান প্রসব করছে, যেখানে এখনও পরিচ্ছন্ন পানি পাওয়া যায় না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ওয়াটার এইড, জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফসহ ১৬টি প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের প্রতিনিধিত্বকারী এই প্রতিবেদনে, নবজাতক ও মায়েদের মৃত্যু রোধে বাড়িতে ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিরাপদ পানি, নূন্যতম পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।