ফের বিশ্বভারতীতে ছাত্রের লাশ

SHARE

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আবারো লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটা একটি আত্মহত্যার ঘটনা। বিশ্বভারতীর হোস্টেলে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ছাত্রটি।

জানা গেছে, ওই ছাত্রের নাম পার্থ দাস। শনিবার সকালে হোস্টেলের রুম থেকে পার্থের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছেন সহপাঠীরাই। পার্থের বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাটে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে বিশ্বভারতীতেই পড়াশোনা করছিলেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর গণিতে স্নাতক কোর্সে ভর্তি হন তিনি। স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন পার্থ।

সহপাঠীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকতেন পার্থ। গরমের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে হোস্টেলে ফিরে আসেন। সম্প্রতি বিশ্বভারতীতে ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন ছাত্ররা। শুক্রবার সকালে পার্থও বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন।

পার্থর রুমমেট কার্তিক কর্মকার জানান, শনিবার সকালে যখন তিনি খেতে বের হয়েছিলেন তখন ঘরেই ছিলেন পার্থ। ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। জানলা দিয়ে উঁকি মেরে ফ্যানে পার্থকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। হোস্টেলের অন্য ছাত্ররা ঘরের দরজা ভেঙে পার্থকে উদ্ধার করে বিশ্বভারতীর নিজস্ব হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে আত্মহত্যা করেন এক যুগল। বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জ ও চীনা ভবন সংলগ্ন এলাকা থেকে এক ছাত্র ও ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা অবশ্য বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী ছিলেন না। পুলিশ জানিয়েছে, দুজনই বোলপুরের শ্রীনন্দা বিদ্যালয়ের ছাত্র। এ ঘটনায় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।