কলকাতায় অমিত শাহ’র রোড শোতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ

SHARE

কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের প্রথম রোড শো-কে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে কলকাতার কলেজ স্ট্রিট এবং বিদ্যাসাগর কলেজ সংলগ্ন বিধান সরণি।

আজ মঙ্গলবার কলকাতার ধর্মতলা মোড় থেকে বিবেকানন্দের বাড়ি, সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত রোড শো করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সাথে ছিলেন উত্তর কলকাতার প্রার্থী রাহুল সিনহা, দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী চন্দ্র বসু, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ’র রোড শোটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে আসতেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বাঁধে। বিজেপির জনজোয়ার আর তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষ থামাতে নাজেহাল হয় কলকাতা পুলিশ। এ সময় ইট-পাটকেল আর পানির বোতল ছোঁড়াছুঁড়ি হয়। আহত হন দুই টিএমসিপি কর্মী। এ সময় কালো পতাকা, পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন টিএমসিপি কর্মীরা।

পরিকল্পনা ছিল অমিত শাহ’র গাড়ি যখন বিশ্ববিদ্যালয় গেট পার করবে তখন ওই পতাকা আর পোস্টার দেখিয়ে বিজেপিবিরোধী স্লোগান তুলবেন তৃণমূলের ছাত্র শাখার নেতাকর্মীরা। কিছু সময় পর বিশ্ববিদ্যালয় গেটে পাল্টা জমায়েত হয় বিজেপির ছাত্র শাখা এবিভিপির কর্মীরা। শুরু হয় উত্তেজনা। অমিত শাহ’র গাড়ি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ পার করতেই শুরু হয় সংঘর্ষ।

তবে তৃণমূলের অভিযোগ, রাস্তা থেকে বিজেপি কর্মীরা পানির বোতল ছুঁড়তে শুরু করে। পাল্টা ইট ছুঁড়তে শুরু করে তৃণমূল। এরপরই বিজেপি কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেয়। বাঁশ, লাঠিসহ তৃণমূলের জমায়েতের দিকে এগিয়ে যায় গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা।

বিজেপির অভিযোগ, বিদ্যাসাগর কলেজের ভেতরে তৃণমূলের জমায়েত ছিল। সেখান থেকেই ইটবৃষ্টি শুরু হয় মিছিলের ওপর। পাল্টা বিজেপি কর্মীরাও মারমুখী হয়ে ওঠে। কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নেয় ওই এলাকা। বিদ্যাসাগর কলেজের গেটের সামনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তিনটি মোটরসাইকেল। আগুন নেভাতে কোনো দমকল বাহিনী আসেনি। কলকাতা পুলিশ নিজেদের উদ্যোগে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এদিকে বিজেপি সমর্থকদের ছোঁড়া পাথরের আঘাতে আহত হয় সংবাদমাধ্যমের কয়েকজন কর্মী।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদ্যাসাগর কলেজে হামলার ঘটনায় বাংলার সাংস্কৃতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরও অমিত শাহ যেভাবে রোড শো চালিয়ে গিয়েছেন তাতে বিস্মিত অনেকে।