ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের আগে থেকেই কাশ্মির নিয়ে এই জনপদের মানুষের আগ্রহের কমতি ছিল না। দেশভাগের পরিকল্পনায় কাশ্মিরকে ভারত-পাকিস্তান থেকে মুক্ত হিসেবে রাখা হয়।
তবে স্থানীয় শাসক হরি সিং কাশ্মিরকে ভারতের অংশ হিসেবে পেতে চান। সে কারণে ১৯৪৭ সাল থেকে দুই বছর যুদ্ধ চলে। তার পর ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে ভারতীয় সেনারা।
বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান উভয়ে পরমাণু হামলা চালানোর ব্যাপারে সক্ষম। এদিকে কাশ্মিরের বেশিরভাগ মানুষ চায় না যে, তাদের ভূখণ্ড ভারতের মধ্যে থাকুক। সেখানকার ৬০ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠী।
দীর্ঘ সময় ধরে সংঘর্ষ চলার কারণে সেখানকার বহু মানুষ পালিয়ে গেছে। ২০১৮ সালে কাশ্মিরে সামরিক এবং বেসামরিক মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
২০০৩ সালে এসে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দেয়। তার পরই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, তারা কাশ্মিরের বিদ্রোহীদের অর্থায়ন করবে না। কিন্তু কিছুদিন পরই ভারতের সেনা ঘাঁটিতে হামলার দায় চাপানো হয় পাকিস্তানের ওপর।
২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এসেই পাকিস্তানের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দেয়। যদিও বেজেপির পক্ষ থেকে শান্তি আলোচনার কথাও বলা হয়। অবশ্য নরেন্দ্র মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দিল্লিতে এসে বৈঠক করেন। কিন্তু ২০১৭ সালে এসে পাকিস্তানকে আবারো অভিযুক্ত করে দিল্লি।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরে জঙ্গি হামলায় ৪০ জনের বেশি সেনা জওয়ান নিহতের পর থেকেই পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। তবে বরাবরই সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে আসছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারত যদি বিচার বিবেচনা না করে হামলা চালায়, তাহলে সেই হামলার পাল্টা জবাব দেয়া হবে।
অথচ, গত ১৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে কাশ্মিরের সাধারণ বাসিন্দাদের হয়রানির পরিমাণ বেড়ে গেছে। এমনিতেই সেখানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যা বেশি। কিন্তু এই হামলার পর নানাভাবে সেখানকার বাসিন্দাদের হয়রানি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিবিসি।