ফেব্রুয়ারির তিন দিবসে গদখালীর ফুল বিক্রির লক্ষ্য ৭০ কোটি টাকা

SHARE

ফেব্রুয়ারি মাসের তিন দিবসকে ঘিরে যশোরের গদখালীর ফুল চাষিরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এবার তাদের ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ৭০ কোটি টাকা। এরই মধ্যে বসন্ত দিবস উপলক্ষে গদখালী পাইকারি ফুলের হাট জমে উঠেছে। ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফুল বিক্রির জন্য চাষি ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।

গদখালী ও এর আশপাশের গ্রামসহ শার্শা উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে ফুল চাষ হয়ে আসছে। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, বর্তমানে প্রায় তিন হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত আছে ছয় হাজার চাষি। তাদের চাষাবাদকৃত ফুল দেশের চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ পূরণ করে। এই ফুল ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ কয়েকটি দেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জারবেরা প্রতিটি ৮ থেকে ১০ টাকা, গ্লাডিওলাস প্রতিটি স্টিক ৫ থেকে ১০ টাকা, লাল গোলাপ প্রতিটি ৫ থেকে ৭ টাকা ও চায়না গোলাপ প্রতিটি ১৫ থেকে ২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

গদখালীর ফুল চাষি হাফিজা খাতুন হ্যাপি এক বিঘা জমিতে চায়না গোলাপ ও জারবেরা চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শেড নির্মাণ করে ওই দুটি ফুলের চাষ করেছি। যে কারণে আমাদের উৎপাদিত ফুলের মান খুবই ভালো। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এরই মধ্যে ফুল কেনাবেচা শুরু হয়েছে। আমাদের উৎপাদিত চায়না গোলাপ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা দামে। ঢাকায় এই ফুলটির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ফুলের এমন ন্যায্য দাম পেলে আমরা লাভবান হব।’

আরেক ফুল চাষি আবুল হোসেন এক বিঘা জমিতে গ্লাডিওলাস ফুলের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘রঙিন গ্লাডিওলাসের প্রতিটি স্টিক বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৮ টাকা। অন্য সময়ের চেয়ে এখন আমরা ফুলের ন্যায্য দাম পাচ্ছি।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বসন্ত দিবস উপলক্ষে প্রচুর পরিমাণে হলুদ গাঁদা ফুলও বিক্রি হচ্ছে। আর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিক্রি হচ্ছে লাল গোলাপ। গদখালী ফুলের পাইকারি বাজারে কথা হয়, পাইকারি ব্যবসায়ী আবু জাফরের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘আমরা গদখালী ফুলের বাজার থেকে ফুল কিনে ঢাকায় নিয়ে যাই। ফুলের পরিবহন ব্যয় বেশি। যে কারণে ফুলের দাম বেশি পড়ে।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, গত বছর তিন উৎসবকে ঘিরে বিক্রি হয়েছিল ৪০ কোটি টাকার কাছাকাছি। এবার আমরা ৭০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছি। বৃষ্টি না হলে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও লক্ষ্য পূরণ হবে।