মাশরাফির জোড়া আঘাতে ব্যাকফুটে জিম্বাবুয়ে

SHARE

masrafiii২৯৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে মাশরাফির জোড়া আঘাতে ব্যাকফুটে চলে গেছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ২২ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে সফরকারী দলটি। ফিরে গেছেন ভুসি সিবান্দা ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ভুসি সিবান্দাকে আউট করে মিরপুর স্টেডিয়ামে ‘গর্জন’ তুলেন টাইগার দলনায়ক মাশরাফি। দলীয় তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে মাশরাফিকে তুলে মারতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন সিবান্দা। আরাফাত সানি কট ধরে সিবান্দাকে সাজঘরের পথ দেখান।

পরের ওভারে সফরকারী শিবিরে আবার আঘাত আনেন মাশরাফি। লেগ স্ট্যাম্পের ওপর দিয়ে লাফিয়ে ওঠা বল মাসাকাদজার ব্যাটে লেগে মুশফিকের হাতে জমা পড়লে সাজঘরে ফিরতে হয় জিম্বাবুয়ের এই ওপেনারকে। তবে সাজঘরে ফেরার সময় আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে প্রতি নিজের নাখোশ ও রাগ উপড়ে দেন এই জিম্বাবুইয়ান।

শেষ খবর পাওয়া পর্য ন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৬ রান। ব্রেন্ডন টেলর ৪ ও মারুমা ০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে টাইগাররা ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করে।

বাংলাদেশের হয়ে এনামুল হক বিজয় সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন। তার ১২০ বলের ইনিংসটি ৯টি চারে সাজানো ছিলো। এছাড়া তামিম ৪০, সাকিব ৪০, মুশফিক ৩৩, মাহমুদুল্লাহ ৩৩ এবং সাব্বির করেন ২২ রান।

জিম্বাবুয়ের হয়ে টিনাশে পানিয়াঙ্গারা সর্বোচ্চ ২টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া মাদজিবা, মাসাকাদজা ও কামুনগজি একটি করে উইকেট লাভ করেন।

টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয় বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচণা এনে দেন।  এই দুজন তুলেন ১২১ রান। দলীয় ১২১ রানে ব্যক্তিগত ৪০ রান করে রান আউটের শিকার হন তামিম। তামিম ফিরে গেলেও মুমিনুলকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন এনামুল। তবে ১৬০ থেকে ১৬৭- এই ৭ রানের মধ্যে মুমিনুল ও এনামুল ফিরে গেলে কিছুটা ধাক্কা খায় টাইগাররা। সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকতেই সাজঘরে ফেরেন এনামুল।

এরপর সেখান থেকে স্বাগতিকদের উদ্ধার করেন সাকিব ও মুশফিক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এই দুজন ৭২ রান তুলতে বড় সংগ্রহের দিকে যায় মাশরাফির দল।

দলীয় ২৩৯ থেকে ২৪৪- এই ৫ রানের মধ্যে সাকিব ও মুশফিক ফিরে গেলেও মাহমুদুল্লাহ ও সাব্বিরের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ২৯৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোক করতে সক্ষম হয় টাইগাররা। সাকিব-মুশফিকের পর মাহমুদুল্লাহ ও সাব্বিরের দারুণ ব্যাটিংয়ের কল্যাণে শেষ ৫৬ বলে ৯৭ রান করতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা।

সাকিবের ৪০ রান আসে মাত্র ৩৩ বলে। মুশফিক ৩৩ রান করেন ২২ বলে আর মাহমুদুল্লাহর ৩৩ রান আসে ২৬ বলে। সাব্বির রহমান ২২ রান করনে খেলেন ১৩ বল।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজে আপাতত ২-০ তে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।