সম্প্রতি মাগুরা সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে এবং মেডিকেল কলেজ ঘোষণা করা হয়েছে । কিন্তু এরই মধ্যে আউট সোর্সিং এ লোকবল নিয়োগে দেখা দিয়েছে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি । সম্প্রতি, হাসপাতালের গেটে ও হাসপাতালের বিভিন্ন দরোজায় অপরিচিত লোকজন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে, অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের রেকর্ড কিপার তারিকুল ইসলাম ও ওয়ার্ড মাস্টার নূর আলম বিভিন্ন পদে আউট সোয়ার্সইং এর মাধ্যমে নিয়োগের সুযোগ করে দেবেন বলে অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন ও নিচ্ছেন । গত ২৭ ও ২৮ এ নভে¤॥^র তারিখে রেকর্ড কিপার তারিকুল ইসলামের অফিসে যেয়ে তাকে পাওয়া যায়নি । ফোন করে জানা গেলো তার কোনো এক আত্মীয় মারা যাওয়ার কারণে তিনি কর্ম স্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন কিন্তু তার অফিস যথারীতি খোলা এবং অফিসের দরোজার বাইরে দুইদিনই বিশ্বজিৎ দাশ নাম এক ছেলেকে দীর্যক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় । তাকে জিজ্ঞাসা করতে সে জানায়, সে পেশায় একজন ইলেক্ট্রিসিয়ান আউট সোয়ার্সইং এর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার আশায় এভাবে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এই দরোজায় দাঁড়িয়ে থাকি । তাকে নূর আলম ও তারিকুল ইসলাম দাঁড়িয়ে থাকতে বলছে এবং পরে ২৯শে নভে¤॥^র তারিখে তারিকুল ইসলামকে সরোজমিনে জিজ্ঞাসা করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় । অন্যদিকে নূর আলম জানায় যে, এভাবে প্রিতিটি দরোজায় এমনিতেই এসব লোকজন দাঁড়িয়ে থাকে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী জানান, বিধি বহির্ভুত ভাবে নিজবেতনে ওয়ার্ড বয় থেকে পদোন্নতি পাওয়া তারিকুল ইসলাম ও নূরআলম মাগুরা সদর হাসপাতালের দালাল নিয়োগ থেকে শুরু করে সকল ধরণের অপকর্মের সাথে যুক্ত এবং তাদের ভয়ে অন্য সাধারণ নিরীহ কর্মচারীরা মুখ খুলতে সাহস পায় না । চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি তারিকুর ইসলাম এর আগে এক বৌ থাকা সত্বেও , অন্য একজন হিন্দু মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে, যা তার এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে ।