জামাল খাশোগির গুমের বিষয়ে সৌদির ব্যাখ্যা চাইলো যুক্তরাষ্ট্র

SHARE

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারা স্যান্ডার্স এ কথোপকথন সম্পর্কে বলেন, দুটি আলোচনাতেই সাংবাদিক খাশোগির গুম হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও সৌদি সরকারকে এ ঘটনার তদন্তে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে। সাংবাদিক গুম হওয়ার বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কড়া নজর রাখছে বলে জানান তিনি।

সৌদি সরকারের ঘোর বিরোধি সাংবাদিক খাশোগি ২০১৭ সাল থেকে যুক্তারাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটিতে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।

স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা জামাল খাশোগি গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তুরুস্ক সরকার বলছে, খাশোগিকে সৌদি কনস্যুলেটের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে। যদিও সৌদি আরব এ অভিযোগ অস্বীকার করছে।

তুরস্কের একটি স্থানীয় দৈনিক কয়েকজন সৌদি নিরাপত্তা কর্মকর্তার ছবি প্রকাশ করে বলেছে, গত ২ অক্টোবর যেদিন খাশোগি সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন সেদিন দু’টি ব্যক্তিগত বিমানে করে ইস্তাম্বুলে যান এসব কর্মকর্তা। তারা সৌদি কনস্যুলেটেও প্রবেশ করেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সৌদি আরবকে তাদের দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে বলেছে যে, খাশোগি কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তা না হলে সৌদির করা দাবি ভিত্তিহীন হবে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

বিশ্বের অনেক মানবাধিকার সংগঠন এবং কর্মীরা নিখোঁজ সাংবাদিকের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা তদন্ত করে খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন।

সম্প্রতি মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির ২২ সদস্য এ ঘটনার তদন্ত করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান। এবার নিখোঁজ সাংবাদিক জামাল খাশোগির বিষয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরবকে পদক্ষেপ নিতে আনুষ্ঠানিক চাপ দেয়া শুরু করলো ওয়াশিংটন।