রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বান

SHARE

rohinga childrenনিজস্ব প্রতিবেদক:

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বানকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সফলতা হিবেবে দেখছেন দেশের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া-চীনকে এই ইস্যু আস্থায় আনতে হবে।

কেননা, এরপরও রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাচত বন্ধ না হলে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ আনতে পারে নতুন রেজুলেশন। সে ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে ওই তিন দেশের সমর্থন।

রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনা অভিযান হত্যা-অগ্নিসংযোগের মুখে প্রায় পৌনে ৪ লাখ রোহিঙ্গা ঘর-বাড়ি ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার প্রেক্ষাপটে বুধবার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে নিউইয়র্কের জাতিসংঘের সদর দফতরে বৈঠকে বসে নিরাপত্তা পরিষদ। জরুরী এই বৈঠকে ডাক দেয় ব্রিটেন এবং সুইডেন।

বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সর্বসম্মতিক্রমে এক বিবৃতি দেয় সদস্য রাষ্ট্রগুলো। রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সরকারের সেনা অভিযান নিয়ে গভীর উদ্বেগ আর তীব্র নিন্দা প্রকাশ করা হয় ওই বিবৃতিতে।

গত ৯ বছরের মধ্যে এই প্রথম মিয়ানমার ইস্যুতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছালো নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিয়ানমারে সেনা সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। ত্রাণকর্মীদের ঢুকতে দিতে হবে এবং আনান কমিশনকে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এছাড়াও রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ, পরিস্থিতির উত্তরণ, আইনশৃঙ্খলা এবং নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করছে নিরপত্তা পরিষদ।