নিজস্ব প্রতিবেদক:
পদ্মা-যমুনাসহ নদ-নদীগুলোতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কয়েকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। তবে কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের কিছু জেলার নদ-নদীর পানি কমায় সেখানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৪০টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রামের ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে পানিবন্দি মানুষ। জামালপুরে উজানে যমুনার পানি কমলেও ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ শাখা নদীগুলোর পানি বেড়েছে। এতে সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ, বকশীগঞ্জ ও জামালপুর সদর উপজেলার নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে বন্যার পানি। বন্যায় জেলার প্রায় ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
মানিকগঞ্জে প্রতিদিনই নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। পানির স্রোতে কোথাও কোথাও রাস্তা ভেঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।পানিবন্দি রয়েছে ৫টি উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ।
শেরপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত তিন দিনে কামারের চর এবং বেতমারীতে বন্যার পানিতে ডুবে শিশু ও বৃদ্ধসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নওগাঁয় ৫টি উপজেলার ২০টি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা পস্নাবিত হচ্ছে।
শরীয়তপুরের নতুন নতুন এলাকায় পানি উঠে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরেছে পদ্মা তীরবর্তী গ্রামের মানুষ। দুর্গত এলকায় ও গো-খাদ্যেও সংকট দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিসত্মাসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি কমতে শুরম্ন করায় সার্বিক বন্যা পারিসি’তির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।