আলাস্কার এলমেনডর্ফ–রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টা) তাদের এই বৈঠক শুরু হয়েছিল।
বৈঠকের আগে আলাস্কার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অভ্যর্থনা আয়োজনে ছিল বিমান বহরের এক নজরকাড়া মহড়া।
অভ্যর্থনা জানাতে পুতিনের মাথার ওপর দিয়ে একটি বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান উড়িয়েছেন ট্রাম্প। যদিও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার আগে তার শক্তি প্রদর্শনের জন্য ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে এই বিমান মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়, যেখানে রাশিয়াও একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। পেন্টাগনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় ব্যবহৃত এই বোমারু বিমান বিশ্বের অন্যতম ভয়ংকর ও রহস্যময় যুদ্ধবিমান।
বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত সামরিক সরঞ্জামগুলোর মধ্যে একটি বলে ধারণা করা হয়। লক্ষ্যবস্তুতে গোপনে ও নির্ভুলভাবে আক্রমণ করতে পারে এই বিমান।
মার্কিন বিমান বাহিনী তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘বি-টু একটি মনুষ্যবাহী বোমারু বিমান, যেটি সাবলীলভাবে যে কারো আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের দক্ষতা রয়েছে। রাডারে সবচেয়ে কম দৃশ্যমান বা এর ‘স্টেলথ’ বৈশিষ্ট্যের কারণে বিমানটি সবচেয়ে সুরক্ষিত শত্রু প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে পারে এবং শত্রুর সবচেয়ে মূল্যবান ও গভীরে সুরক্ষিত লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা করতে পারে।
’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি মার্কিন বি-টু এর দাম প্রায় দুইশ কোটি ডলার। ফলে এটি বিশ্বে এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে ব্যয়বহুল সামরিক বিমানগুলোর একটি।’ এই বিমানগুলো পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে টানা উড়ে যেতে পারে এবং পারমাণবিক ও প্রচলিত অস্ত্র বহনে সক্ষম। গত জুন মাসে ইরানে ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এ ঠিক এই ধরনের সাতটি বি-২ বিমান একটানা ৩৬ ঘণ্টা উড়ে ইরানের বিভিন্ন ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা নিক্ষেপ করে।