‘জয়’ শব্দটা জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অভিধান থেকে হয়তো মুছেই যাচ্ছে! কিছুদিন আগেও নিজেদের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে তারা। অথচ এই দলটি বাংলাদেশের মাটিতে একটি জয়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
বাংলাদেশ সফরে টেস্ট সিরিজে ধবল-ধোলাই হয়েছে জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে একটিতেও জয় নেই সফরকারীদের। সিরিজ হারের সেই ক্ষত মুছতে না মুছতেই বিসিবি একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও হারের তিক্ত স্বাদ নিতে হলো জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের। বুধবার ওয়ানডে সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেও বিসিবি একাদশের কাছে ৮৮ রানে হেরে যায় জিম্বাবুয়ে।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বিসিবি একাদশ সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৪৫.৩ ওভারে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ওয়ানডে সিরিজে বাদ পড়া নাসির হোসেন। ৬২ বলে ৬১ রান করেন তিনি। ৩ টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কা হাঁকান নাসির। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানটিও আসে ওয়ানডে সিরিজ থেকে বাদ পড়া শামসুর রহমানের ব্যাট থেকে। ডানহাতি এই ওপেনার ৭৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৯ রান করেন।
প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া সাব্বির রহমান ও আনামুল হক বিজয়। তবে দুজন ব্যাটসম্যানই হতাশ করেন। ওপেনার আনামুল হক ১৩ ও সাব্বির রহমান মাত্র ২২ রান করেন।
নাসির ও শামসুর রহমান ছাড়া ব্যাট হাতে রান করেন শুভাগত হোম ও আবুল হাসান রাজু। শুভাগত হোম ৪৩ বলে ৪০ ও আবুল হাসান ১৬ বলে ৩৩ রান করেন। ইনিংসের শেষ দিকে ২০৬.২৫ স্ট্রাইক রেটে ৪ ছক্কায় আবুল হাসান রাজু ১৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংসটি খেলেন।
৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার ভুসিমুজি সিবান্দা। ২টি করে উইকেট নেন নেভিল মাদজিভা ও জন নিয়াম্বু।
২৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫৫ রানে ২ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন সিকান্দার রাজা ও টিমিসেন মারুমা। ৭৭ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
দলীয় ১৩২ রানে সিকান্দার রাজাকে আউট করেন এই জুটি ভাঙেন সাব্বির রহমান। ৪৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৪৪ রান করেন সিকান্দার রাজা।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ১৩২ থেকে ১৯৪ পর্যন্ত যেতেই অবশিষ্ট ৭ উইকেট হারায় তারা। জিম্বাবুয়ের দলের সর্বোচ্চ স্কোরার টিমিসেন মারুমা। ৭৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৫০ রান করেন তিনি।
এছাড়া ব্রেন্ডন টেলর ২৮ ও রিচমন্ড মুতুমাম্বি ২২ রান করেন।
বিবিসি একাদশের হয়ে পেসাররাই নেন ৭টি উইকেট। শহীদ, শফিউল ও রাজু ২টি করে উইকেট নেন। মিডিয়াম পেসার মুক্তার আলী নেন ১ উইকেট। এ ছাড়া স্পিনার সাব্বির রহমান ২ টি ও নাসির ১ টি উইকেট নেন।