‘চোরাচালানের প্রমাণ মিললে পুলিশকেও গ্রেফতার করা হবে’

SHARE

monirul islamঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, “স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগ কিংবা পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যেই থাকুক, তদন্তে প্রমাণ মিললে তাকে গ্রেফতার করা হবে।”

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করেন, এমন পাঁচজনকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ। রাজধানীর উত্তরা ও বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাদের তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন  বাংলাদেশ বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এমদাদ হোসেন, প্লানিং ও সিডিউলিং বিভাগের প্রধান ক্যাপ্টেন আবু মোহাম্মদ আসলাম শহীদ, শিডিউলিং ম্যানেজার মো. তোজাম্মেল হোসেন, উত্তরার ফারহান মানি এক্সচেঞ্জের মালিক হারুন অর রশিদ ও বিমানের ঠিকাদার মাহমুদুল হক পলাশ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১২ নভেম্বর বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে দুই কেজি ৬০০ গ্রাম সোনা উদ্ধারের পর মাজহারুল আফসার নামের এক কেবিন ক্রুকে আটক করা হয়। তিন দিনের রিমান্ডে তার দেয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার রাতে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, “মূলত শফিউল আজম নামের এক ব্যক্তি দুবাই থেকে চোরাচালানের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি ওই সোনাগুলো ঢাকায় পাঠিয়েছেন। আর পলাশ এ কাজের সমন্বয় করতেন। টাকা লেনদেন হতো হারুন অর রশিদের মাধ্যমে। অবৈধ সোনার চালান কাস্টমস পার করতে বিমানের ক্যাপ্টেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হতো।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “তদন্তে বিমান বালা থেকে শুরু করে বিমানের বিভিন্ন পর্যায়ের অনেকের নাম এসেছে। এগুলো যাচাই করা হচ্ছে। পলাশের স্ত্রী নিজেও একজন বিমানবালা। বিমানবন্দরে অনেকগুলো সংস্থা কাজ করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগ, পুলিশ বাহিনীর কেউ কিংবা যেকোনো সংস্থার যারই সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলবে তাকে গ্রেফতার করা হবে।”

মনিরুল বলেন, “দুবাইয়ে স্বর্ণ কেনায় বিধি-নিষেধ নেই। এ কারণে সেখান থেকে স্বর্ণ কিনে চোরাইপথে বাংলাদেশে পাচার করা হয়। বাংলাদেশ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং স্বর্ণগুলোর মূল গন্তব্য থাকে পাশের দেশগুলো।”