বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার: শূন্য মার্জিনে এলসি খুলে চাল আমদানির সুযোগ

SHARE

চাল আমদানিতে এখন থেকে শূন্য মার্জিনে এলসি খুলতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। এ ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের ব্যাংক-ব্যালেন্স থাকার দরকার নেই।

সোমবার দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে এ পরামর্শ দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দেশের ব্যবসায়ীদের চাল আমদানিতে উৎসাহিত করতে এ বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকবে।

জানতে চাইলে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্বে) সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, শূন্য মার্জিনে চাল আমদানির একটি সাময়িক সুবিধা দেয়া হয়েছে। আশা করি এর মাধ্যমে পর্যাপ্ত চাল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চালের বাজারে অস্থিরতা রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক এ উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র (এলসি) খোলার মার্জিনে (এক ধরণের গ্যারান্টি, এলসি মূল্যের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অর্থ ব্যাংকে জমা রাখতে হয়) কিছুটা শিথিলতা দেখাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি হাওর এলাকায় বন্যা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবৃষ্টিসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চালের স্বাভাবিক সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। এতে চালের বাজারে অস্থিতিশীলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ অবস্থায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে বাজারে চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনে ঋণপত্র স্থাপনের জন্য পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। এছাড়া ধান, চাল ব্যবসায়ী ও চাতাল বা মিল মালিকদের ঋণ পরিশোধের পূর্ব নির্ধারিত সীমা পরিপালন নিশ্চিতে আবারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে সার্কুলারে।

বিভিন্ন ব্যাংক সূত্র জানায়, চাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ জমা দিতে হয়। নগদ টাকা না থাকায় অনেক ব্যবসায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্যবসায়ীরা চাল আমদানিতে সুবিধা পাবেন।