রাঙামাটিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই হামলায় কোনো মহলের হাত রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সরকার কেন তাদের হাতে ইস্যু তুলে দেবে? আওয়ামী লীগের লোকজন কেন হামলা করতে যাবে।
আজ সোমবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল আরোহী, মিটার ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অননুমোদিত এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ঘটনার সাত দিন পরে সেখানে ত্রাণ দিতে যাচ্ছে, তারা উপকূলে যায়নি এমনি তারা মাইনাসে আছে। আমি কেন প্লাস করতে যাব? আমি কেন তাদের ইস্যু দিতে যাব? আমাদের কি মাথা খারাপ হয়েছে। সরকারের বা দলের কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা নির্দেশ দেব, আমরা তাদের হাতে ইস্যু তুলে দেব শুধু শুধু? কী প্রয়োজনে?
‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে- এ ভয়ে আওয়ামী লীগ ভীত হচ্ছে’ বিএনপির এ বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, আমি যদি বলি নানা অজুহাত তারা তৈরি করছেন নির্বাচনে থেকে সরে যাওয়ার জন্য। কারণ নির্বাচনে তারা হেরে যাবেন, তারা এটা ভালো করে জানেন। কাজেই নির্বাচনে হেরে যাওয়ার চেয়ে একেকটা অজুহাত তৈরি করে সরে যাওয়াটা ভালো, সেটাও তো হতে পারে।
ঈদের পর খালেদা জিয়ার সহায়ক সরকারের রূপরেখার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, উনি দিতে পারেন। উনি তো ভিশনও একটা দিয়েছেন। ভিশন দিয়ে জেলায় জেলায় গিয়ে নিজেরা নিজেরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, জেলায় জেলায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা ধাওয়া খেয়ে ঢাকা ফিরে আসে। ওটা ছিল ভিশন। ভিশনটা হলো হাওয়া ভবনের মতো আরেকটা ভবন করে লুটপাট করবে সেই ভিশন।
তিনি আরো বলেন, সহায়ক সরকার আমাদের সংবিধানে নেই এবং কোনো গণতান্ত্রিক দেশেও নেই। বাংলাদেশে এ নজিরবিহীন সহায়ক সরকারের প্রয়োজনটা কী? নির্বাচন তো হবেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এখন তারা এসব নানা অজুহাতে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ফন্দি আঁটবে কিনা, সেটা দেশবাসী আশঙ্কা করছে।