মডেল জাকিয়া মুনের আলোচিত বিলাসবহুল পোরশে গাড়িটি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।একইসঙ্গে তাকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দীর্ঘ অনুসন্ধান ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার কাস্টমস কমিশনার এ রায় প্রকাশ করে।
এখন মডেল মুনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
সোমবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান যুগান্তরকে জানান, ব্রিটেন থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় এনে শর্ত অনুযায়ী পোরশে গাড়িটি আবার বিদেশে না নিয়ে অবৈধভাবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
বিষয়টি জানতে পেরে শুল্ক গোয়েন্দারা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে ২০১৬ সালের ৬ জুন গুলশান-১ এর ৩৩ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাড়ির পার্ক থেকে গাড়িটি আটক করেন।
এ সময় গোয়েন্দারা জানতে পারেন গাড়িটি ব্যবহার করছেন মডেল জাকিয়া মুন।
তিন কোটি টাকা মূল্যের পোরশে গাড়িটিতে সরকারের প্রায় দুই কোটি ২৭ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়।
মইনুল খান আরও জানান, শুল্ক ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে জাকিয়া মুন ছাড়াও তার আরও দু’জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তারা হলেন মডেল মুনের স্বামী গার্মেন্টস ব্যবসায়ী শফিউল আলম মহসীন ও গাড়ির আমদানিকারক বাংলাদেশি বংশদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক আফজাল আলী।
শুল্ক গোয়েন্দারা অনুসন্ধান শেষে জাকিয়া মুন, তার স্বামী শফিউল আলম মহসীন ও আফজাল আলীর বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ এনে বিচারের জন্য কাস্টমস হাউসের কমিশনারের কাছে পাঠান।
শুল্ক আইনে প্রদত্ত বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার কাস্টমস কমিশনার রায় প্রকাশ করেন।