বনানীর দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় বিতর্কিত আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের বিরুদ্ধে চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে পাঁচটি মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা কাস্টমস হাউজে মামলাগুলো করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান যুগান্তরকে বলেন, চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের বিরুদ্ধে তিনটি এবং তার দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি শাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ‘অবৈধ সম্পদ’ খুঁজতে তার প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্রে গত ১৪ ও ১৫ মে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
প্রতিষ্ঠানটির গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান অ্যাভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের পাঁচটি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে ৪ জুন (রোববার) তিন দফা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আপন জুয়েলার্সের জব্দকৃত স্বর্ণ ও হীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়।