সবার আগে শেষ চারে ইংল্যান্ড

SHARE

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই তাদের গায়ে লেগেছে ফেবারিট তকমা। মঙ্গলবার কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডকে ৮৭ রানে হারিয়ে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে শিরোপার দাবিটা আরও জোরালো করল ইংল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডের এই পরাজয়ে ভীষণ খুশি হওয়ার কথা বাংলাদেশের। পয়েন্ট তালিকায় এখন দুই দলের সমান ১ পয়েন্ট। কার্ডিফেই ৯ জুন বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড তাই মুখোমুখি হচ্ছে সমতায় থেকে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে ইংল্যান্ডের সেমিফাইনাল সবার আগে নিশ্চিত হলেও সুতোয় ঝুলে আছে বাকি তিন দলের ভাগ্য।

তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি কোনো ইংলিশ ব্যাটসম্যান। শতরানের জুটি হয়নি একটিও। তবুও ইংল্যান্ড ৩০০ পেরিয়েছে ‘দশে মিলে কাজ করি’ নীতিতে। অ্যালেক্স হেলস, জো রুট, জস বাটলারের ফিফটি আর বেন স্টোকসের ৪৮ বড় অবদান রেখেছে ইংলিশদের স্কোরটা হৃষ্টপুষ্ট করতে। ৪৯.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে ৩১০ রান তুলে ফেলেছে ইংল্যান্ড।

দলের ১ রানে ওপেনার লুক রনকিকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মার্টিন গাপটিল-কেন উইলিয়ামসন ৬২ ও তৃতীয় উইকেটে উইলিয়ামসন-রস টেলর ৯৫ রানের জুটি ভিন্ন আভাসই দিয়েছিলেন—ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩১১ রানের লক্ষ্য পেরোনো অসম্ভব নয় নিউজিল্যান্ডের। কিউইদের কী যে হলো, ৩৩. ৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৮ রান তোলা নিউজিল্যান্ড ৫৫ রানের মধ্যে বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৪.৩ ওভারে অলআউট ২২৩ রানে।

জ্যাক বল-মার্ক উড শুরু করেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে দারুণভাবে চেপে ধরেন দুই ইংলিশ পেসার। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে পরে কিউইদের ধসিয়ে দিয়েছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। ৩২ রানের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের যে ৫ উইকেট পড়েছে, চারটিই তাঁর। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসনের ৮৭ রানের ইনিংসটা তাঁর ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানই যা উজ্জ্বল করেছে, দলকে সেটি জয় এনে দিতে পারেনি।