বাংলাদেশ ডেস্ক:
রাঙামাটির লংগদুতে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল থেকে পাহাড়িদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় প্রশাসনের কোনো ‘গাফিলতি’ ছিল কি না তা তদন্তের দাবি জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।
শনিবার এক বিবৃতিতে মহাজোট সরকারের শরিক দলটির কার্যকারী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এ দাবি জানান।
পাহাড়ি আদিবাসীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হামলা ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই বিবৃতিতে তারা বলেন, “যুবলীগ নেতার খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়িদের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠা হামলা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো গাফিলতি আছে কি না তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”
বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের চার মাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় যুবলীগের লংগদু সদর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের লাশ। ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালাতেন তিনি।
ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার সকালে নয়নের লাশ লংগদু উপজেলা সদরের বাট্ট্যাপাড়ায় নেওয়ার পর খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এরপর তিনটিলা পাড়া, বাত্যাপাড়া, উত্তর ও দক্ষিণ মানিকজুড় ও বড়াদম এলাকায় পাহাড়িদের ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
নয়ন হত্যাকাণ্ডের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ করেই সদলবলে পাহাড়িদের গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয় বলে উঠে এসেছে প্রত্যক্ষদর্শী একজনের বর্ণনায়।
জাসদের বিবৃতিতে পাহাড়িদের বাড়ি-ঘর, ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাট-আগুন ও খুনের বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
একইসঙ্গে আহতদের সুচিকিৎসা ও আগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান জাসদ নেতারা।
আরেক বিবৃতিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের বিরুদ্ধে হেফাজতের মিথ্যাচার, বিষোদগার ও হুমকির নিন্দা জানান জাসদের এই দুই নেতা।
বিবৃতিতে বলা হয়, “২০১৩ সালের ৫ মের হেফাজতি তাণ্ডবকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টাকারী তেঁতুলগোষ্ঠীকে গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এবং শাহারিয়ার কবিরসহ সব বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান জাসদ নেতারা।
