বাংলাদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘কটূক্তিমূলক’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর মি. সরকার বলছেন, প্রতিবাদ করলে মুখ বন্ধ করার দুটি পন্থা চলছে এখন। তাঁর ভাষায় একটা চাপাতি আরেকটা হল মামলা।
ইমরান এইচ সরকার সহ অজ্ঞাত ৫০ জনের বিরুদ্ধে আজ বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই নালিশি মামলা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
মি. রাব্বানী বলেন “মিছিলে তারা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তিমূলক এবং আপত্তিজনক স্লোগান দিয়েছেন”। দেশের নাগরিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এ ধরণের স্লোগান দেয়া মানহানিকর বলে তিনি মনে করেন।
অন্যদিকে যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই ইমরান এইচ সরকার বিবিসি বাংলাকে বলেন “রাষ্ট্রের ভিতরে যেকোন অন্যায় হলে স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ করা যাবে না, আর এতে অনুভূতিতে আঘাত লাগবে এটা আমার বোধগম্য না। স্লোগান হল প্রতিবাদের ভাষা”।তিনি আরো বলেন “এটা মুখ বন্ধ করার একটা চেষ্টা। কথা বললেই ধমক দেয়া হয়, হুমকি দেয়া হয়। হুমকি দেয়ার একটা রুপ চাপাতি আরেকটা হল মামলা”।
সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে গ্রীক দেবীর ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে গত ২৮শে মে সন্ধ্যায় শাহবাগে মশাল-মিছিল করে গণজাগরণ মঞ্চ।সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে এবং তাঁর নাম নিয়ে স্লোগান দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকার মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান মামলাটি আমলে নিয়ে ইমরান এইচ সরকার সহ অন্যদের তলব করেছেন। তাদের আগামী ১৬ জুলাই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।