‘মোরা’র আতঙ্কে ছিল চট্টগ্রামবাসী

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র নিয়ে অজানা আতঙ্ক ভর করেছিল চট্টগ্রামবাসীর মনে। তবে সব শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে বড় কোন অঘটন ছাড়ায় বাংলাদেশের উপকূল ত্যাগ করেছে এই ঘূর্ণিঝড়। বর্তমানে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হলেও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজন।

SHARE

বাংলাদেশ ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র নিয়ে অজানা আতঙ্ক ভর করেছিল চট্টগ্রামবাসীর মনে। তবে সব শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে বড় কোন অঘটন ছাড়ায় বাংলাদেশের উপকূল ত্যাগ করেছে এই ঘূর্ণিঝড়। বর্তমানে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হলেও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের অগ্রিম সর্তকতা, পূর্বের ঘূর্ণিঝড়গুলোর ভয়াবহতা এবং প্রশাসনের বাধ্যবাধকতার কারণেই এবার চট্টগ্রামের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ঝুঁকিপূণ এলাকার মানুষের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। সোমবার বিকাল থেকেই সাধারণ মানুষের উপস্থিতিই বলে দেয় ঘরবাড়ি নয় জীবনই আগে রক্ষা করতে হবে।

জেলা প্রশাসন , সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্টসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর মানুষের জন্য প্রথম থেকেই সবকিছু তৈরি ছিল। এমনকি রোজাদারদের জন্য ছিল সেহেরির ব্যবস্থা। যার কারণে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের তেমন কোন সমস্যা হয়নি । আশ্রয়কেন্দ্রসহ ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে মেয়র জানালেন সবার সমন্বয়ে কাজ করার কারণে এ ঘূর্ণিঝড়ে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

এদিকে পাহাড় ধ্বস এড়াতে প্রশাসন সর্তক অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক জানালেন পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘূর্ণিঝড়ে কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যাবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলেও হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টি আরো কয়েকদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদ্রা।