নিজস্ব প্রতিবেদক :
মঙ্গলবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী। নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে দিনটি পালন করছে তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি এখন জিয়াউর রহমানের চেতনা ও আদর্শ থেকে অনেকটাই দূরে।
একজন সেনা অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে জিয়াউর রহমান আসীন হন রাষ্ট্রক্ষমতায়। বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের নতুন দর্শন।
বগুড়া জেলার বাগবাড়ি গ্রামে ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। শিক্ষাজীবনের পাঠ চুকিয়ে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকহানাদার বাহিনী এদেশের নিরীহ জনগণের উপর হামলা শুরু করলে ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য তিনি জীবিতদের মধ্যে সর্বোত্তম খেতাব বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।
দেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু সরকার তাকে উপ-সেনাপ্রধান নিয়োগ দেন। বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার পর তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিল্পবের মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রে আসেন জিয়াউর রহমান।
ধাপে ধাপে উর্দি ছেড়ে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ঘোষণা করেন ১৯ দফা কর্মসূচী।
চট্টগ্রাম বিএনপির কোন্দল মেটাতে গিয়ে ১৯৮১ সালের ৩০ মে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নিহত হন জিয়াউর রহমান।
আরও অনেক রাজনীতিবিদের মতো জিয়াউর রহমানও ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে ছিলেন না। সামরিক শাসনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণকে ২০১০ সালে আপিল বিভাগ অবৈধ ঘোষণা করেন। তবে জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। তার প্রতিষ্ঠিত দলটি কতটা তার আদর্শে আছে তা নিয়ে আছে বিতর্ক। তবে ৯০ এর স্বৈরশাসনের পর ক্ষমতায় আসে জিয়ার সহধর্মিণী খালেদা। এর পর আরও দুবার ক্ষমতায় আসীন হয় বিএনপি। তবে জিয়ার আদর্শ বিচ্যুত হয়ে গেছ বর্তমান বিএনপি এমনটাই মনে করেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।