রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে শিক্ষিকাদের বেদম মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে পঞ্চম শ্রেণীর আট শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার দুপুরে মারিশ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার রাত এগারটায় আহত আট শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আবাসিক চিকিৎসক ডা. রুবেল।
আহতরা হলো, পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী- শান্তা আক্তার (১১), সীমা আক্তার (১১), মুন্নি আক্তার (১০), খাদিজা আক্তার (১১), সারিহা আক্তার (১১) মোঃ সজীব (১০), আব্দুল্লাহ আল নোমান (১২) ও মাহমুদুল হাসান রাকিব (১০)।
আহত শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকরা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকার প্রেম করার খবর কয়েকজন শিক্ষার্থী জেনে গিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার সময় শুনে ফেলেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকা।
এ সময় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তার অপর তিন সহকর্মীকে ঘটনাটি জানিয়ে বিদ্যালয়ে ধর্ম ক্লাস চলাকালীন সময়ে উক্ত শিক্ষার্থীদের ডেকে মাঠে দাঁড় করিয়ে বাশেঁর কঞ্চি দিয়ে বেদম মারধর করেন।
পরে বিদ্যালয় ছুটি দেয়ার পর বাসায় ফিরে কয়েকজন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়লে অভিভাবকরা রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আহত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান এই প্রতিবেদককে মোবাইলে জানান, কোনো অপরাধ না করলেও শুধুমাত্র প্রস্রাব করার কথা শুনে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সঙ্গীতা চাকমা, রানু ম্যাডাম, তাইবুন্নেচ্ছা ম্যাডাম ও কানিস ম্যাডাম মিলে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেদম পেঠায়।
এসব কথা কাউকে বললে বিদ্যালয় থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়া হবে বলেও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শাসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানায় ওই শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবক।
বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রুবেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমার কাছে মোট আটজন শিশু ভর্তি হয়েছে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুল হকের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন,“বিষয়টি শুনেছি। অফিসার পাঠিয়ে খোঁজ নেয়া হবে।”
এ ব্যাপারে মারিশ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিউটি চাকমা ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকাদের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের ব্যবহৃত নম্বর গুলো বন্ধ পাওয়া যায়।