‘মওদুদ ভাই লেখেন ভালো, রাজনীতি করেন খারাপ’

SHARE

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, “বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টর মওদুদ আহমদের বইয়ে প্রমাণিত হয়েছে, বিএনপি নেত্রী আত্মঘাতী রাজনৈতিক ভুল করেছিলেন। মনে রাখবেন, মওদুদ ভাই লেখেন ভালো, রাজনীতি করেন খারাপ। এখন সেটাই দেখার বিষয়, মওদুদ ও এ কে খন্দকাররা কোন রাজনীতি করবেন।”

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। চলমান রাজনীতি শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু একাডেমী।image_98461_0

হাসানুল হক ইনু বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক ভুল করেছেন, যেটা ছিল আত্মঘাতী রাজনৈতিক কৌশল। এখন এ ভুলের খেসারত দিচ্ছেন। স্বাভাবিক পথ ছেড়ে অস্বাভাবিক পথে ভুল শোধরানোর পাঁয়তারা করছেন। এ ভুল কিভাবে শুধরিয়ে তিনি আবার রাজনীতিতে আসেবনে সেটাই মূল বিষয়।”

তিনি বলেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বেগম খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের রাজনীতির অবসান হয়েছে। সাংবিধানিক ধারা সমুন্নত হয়েছে।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বেগম জিয়ার পথ চারটা নোংরা পথ। (এক) মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতি। (দুই) জঙ্গিবাদীদের দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করা। (তিন) বিদেশি প্রভুদের মনোরঞ্জন করে তাদের প্রভু হিসেবে মেনে নিচ্ছে। (চার) বেগম খালোদা জিয়া চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের রাজনীতি খেলছেন। মহাজোট তার চারটা নোংরা খেলার ভূত তাড়াবে। তাহলে বাংলাদেশ আর পেছনের দিকে যাবে না।”

তিনি বলেন, “অনেকে দেশে বসে বই লিখে তার (খলেদা) এ নোংরা পথে সহায়তা করছেন। বিদেশে বসে তার ছেলে সেটা করছে।”

এ কে খন্দকারের বইয়ের সমালোচনায় তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু বিশালত্বের সামনে আমি পিঁপড়ার সমান। তার পেছনে অনেক বড় কমান্ডার ছিল, ছোট-বড় অসংখ্য পিঁপড়া আছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা হাতির গল্প বলার মতো। এ কে খন্দকার সাহেব হাতির গল্প বলতে গিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এটা সবাই জানে তিনি (বঙ্গবন্ধু) ৭ মার্চের ভাষণে পাকিস্তান রাষ্ট্রের কফিনে শেষ পেরেক মেরেছেন।”

এসময় তথ্যমন্ত্রী ছাত্রলীগের কার্মকাণ্ডের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “শেখ হাসিনার রানৈতিক সৈনিকরা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করবেন না। যদি করেন, তাহলে আপনারা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সৈনিক নন। মনে রাখবেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।”

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুণ চৌধুরী, আবদুল হাই কানু, হুমায়ূন কবির প্রমূখ।