মস্তিষ্কে টিউমার সৃষ্টির জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহারের সংযোগ রয়েছে বলে রায় দিয়েছেন ইতালির একটি আদালত। রবার্টো রোমিও নামের এক ব্যক্তির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১১ এপ্রিল আদালত এ রায় দেন। তবে বিষয়টি প্রকাশ করা হয় বৃহস্পতিবার। ওই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় একটি সংস্থাকে নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ বছর ধরে একটি সংস্থায় কাজ করেছেন ৫৭ বছর বয়সী রবার্টো রোমিও। সেখানে প্রতিদিন ৩/৪ ঘণ্টা মোবাইলে কথা বলাই ছিল তার দায়িত্ব।
রোমিও বলেন, ‘সংস্থার কাজেই সহকর্মী ও গ্রাহকদের সঙ্গে আমাকে প্রতিদিন ফোনে কথা বলতে হতো। এর বাইরে আমার কোনো বিকল্প ছিল না। ১৫ বছর ধরে আমি অফিসে, বাসায় এমনকি গাড়িতে ফোনালাপ করেছি।
তারপর একসময় বুঝতে পারি, আমার ডান কান ব্লক হয়ে গেছে। ২০১০ সালে আমার প্রথম ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। এর চিকিৎসায় আমার শ্রবণেন্দ্রিয় নার্ভটাই কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে ডান কানে আর কিছুই শুনতে পাই না।’
আদালতে রোমিওর পক্ষে একজন চিকিৎসক বলেন, মাত্রাতিরিক্ত ফোনালাপে তার শরীরের ২৩ শতাংশের কার্যকারিতা নষ্ট করে দিয়েছে। এ বক্তব্যে আদালত কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার আওতায় ইতালির জাতীয় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন রোমিওকে প্রতি মাসে ৫০০ ইউরো ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়।
রোমিওর আইনজীবী স্টিফানো বারটোন ও রেনাটো অ্যামব্রোশিও এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো বিশ্বের কোনো আদালত অসঙ্গত মোবাইল ব্যবহারের সঙ্গে ব্রেন টিউমারের সংযোগের স্বীকৃতি দিলেন।’