একবার-দুবার নয়, চার-চারবার অবসরের কথা বলে আবারও ফিরেছিলেন শহীদ আফ্রিদি। পঞ্চমবারে এসে অবশ্য চূড়ান্ত অবসরের ঘোষণাটা দিয়েছেন, তবু কারও যেন ব্যাপারটা বিশ্বাস হচ্ছে না পুরোপুরি। অনেকেরই সন্দেহ, পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার আবারও জাতীয় দলে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন। বলবেন, দেশকে তাঁর এখনো অনেক কিছুই দেওয়ার বাকি!
আপাতত, ধরে নেওয়া যাক তিনি বিদায়টা নিয়েছেন পাকাপাকিভাবেই। বয়সটাও কম হয়নি—৩৭। তাঁর সমসাময়িক প্রায় সব ক্রিকেটারই বিদায় নিয়েছেন। আফ্রিদিও নিলেন। তবে তাঁর বিদায়টা নীরবে-নিভৃতে হোক, এটা চান না পাকিস্তান দলে তাঁর সতীর্থ শোয়েব আখতার। পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার চান, একটু জাঁকজমকের সঙ্গেই বিদায় হোক আফ্রিদি। তিনি তো পাকিস্তান ক্রিকেট-ইতিহাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশই। এতগুলো বছর পাকিস্তানের জার্সি পরে খেলার পর যদি একটু বিদায় সংবর্ধনা না পান, সেটা কেমন কথা!
পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় শোয়েব তাঁর অভিমতটা জানিয়েছেন, ‘হাজার হোক আফ্রিদি ২০ বছর পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। সে একটা জাঁকজমকপূর্ণ বিদায় পেতেই পারে। নিদেনপক্ষে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের উচিত ওর জন্য একটা নৈশভোজের ব্যবস্থা করা। বোর্ডের কাছে এমন কিছু করার জন্য আমার অনুরোধই রইল।’
২০১৩ সালের দিকে আফ্রিদি-আখতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক পৌঁছেছিল তলানিতে। সে বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আফ্রিদির পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা করে আফ্রিদির তোপের মুখে পড়েছিলেন। দুজনে জড়িয়েছিলেন কথার লড়াইয়ে। শোয়েবকে ‘মিস্টার বিন’ আখ্যা দিয়েছিলেন আফ্রিদি। ক্ষোভের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘বিশেষজ্ঞ হিসেবে পাকিস্তানের কিছু সাবেক ক্রিকেটার এমনভাবে কথা বলেন যেন তাদের সময় কখনোই পাকিস্তান হারেনি।’ সমালোচনায় আফ্রিদির এমন প্রতিক্রিয়ায় শোয়েব বলেছিলেন, ‘এত বছর ক্রিকেট খেলেও আফ্রিদি পরিণত হতে পারেনি। তার কথাবার্তা খুবই শিশুসুলভ।’