বন্যায় ভারত ও পাকিস্তানে ৪৫০ জনের প্রাণহানি

SHARE

ভারত ও পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যায় গত কয়েক দিনে প্রায় ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের কাশ্মিরে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরে মৃত্যুর সংখ্যা সোয়া ২২৫ জনের বেশি।

মঙ্গলবার ভারতের হিন্দি দৈনিক জাগরণ ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্ককরণের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৬০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় জম্মু-কাশ্মীরে প্রানহানি হয়েছে ২১৪ জন। প্রলয়ংকরী বন্যায় ভেঙে পড়েছে টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা।  ভেসে গেছে শতাধিক গ্রাম। উদ্ধার করা গেছে ২৩ হাজার মানুষকে। এখনো বন্যায় আটক হয়ে আছেন লক্ষাধিক মানুষ। ভারতের নৌ, বিমান ও সেনা বাহিনী যৌথভাবে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।image_97547_0

কাশ্মিরে ঝিলাম নদীর পানি প্লাবিত হয়ে গেছে রাজধানী শ্রীনগরেরও বহু বাড়ি, মিলিটারি ঝাউনি এমনকি হাসপাতালও। বাদামি বাগ ক্যানটনমেন্ট থেকে এক ৪০০ জন সেনা ও তাদের পরিবারের লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধার কাজের সঙ্গে চলছে ত্রাণ বিতরণও। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্বাসনে করণীয় সবকিছু করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মিরে প্রলয়ংকরী বন্যায় প্রায়  ২২৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আরো দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। পানিতে ডুবে ও বাড়ির ছাদ ও দেয়াল ধসে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের ইংরেজি পত্রিকা ডনের অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরে গত সপ্তাহে বন্যা শুরু হয়। এতে পাঞ্জাবে ১৫০, কাশ্মীরে ৬৪ ও উত্তরাঞ্চলে ১০ জন মারা গেছে।

বন্যায় ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাশ্মিরে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।

এদিকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বন্যা দুর্গত এলাকায় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ জম্মু ও কাশ্মিরের বন্যা দুর্গত এলাকায় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।