গুলশান হামলায় ১৫০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। বাংলাদেশের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি জানতে পেরেছে, হাসিনা সরকারকে ফেলে দেওয়া এবং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক হিসাবে জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল। এই হামলার পিছনে সেই টাকাও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ঢাকা।
আজ এরকমই একটি খবর ছেপেছে কোলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা।
পত্রিকাটি বলেছে, বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের দাবি, গত শুক্রবার রাতে জঙ্গি হানা চলার সময়ে করাচি এবং মধ্য এশিয়ার মধ্যে কয়েক হাজার ফোন কল গিয়েছে। পাশাপাশি দুবাই, সিরিয়া থেকেও ওই সময় ঢাকায় অজস্র ফোন এসেছে এবং গিয়েছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দারা মনে করছেন, পণবন্দি অবস্থায় করাচি, আরব এবং ঢাকার মধ্যে অজস্র ফোনালাপ থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে কোন কোন দেশ এই ঘটনার নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছে।
এ ছাড়া বেশ কিছু নির্দিষ্ট তথ্যও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কাছে এসেছে। ওই ৫ জঙ্গির কাছেও আরব থেকে সরাসরি ফোন আসছিল। গুলশান-বনানী এলাকার ফোন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল সেনাবাহিনী। তার পরেও দেখা যায় ওই বেকারিতে কয়েকটি স্যাটেলাইট ফোন সক্রিয় ছিল। জঙ্গিরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে আরবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। জঙ্গিরা সেনাবাহিনীর অফিসারদেরও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। বলেছিল, তাহলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশে শরিয়ত আইন প্রতিষ্ঠা করা যাবে।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে ঢাকার পাঠানো ডশিয়ারের কথা উল্লেখ করে জানায়, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার লন্ডনবাসী ছেলে তারেক জিয়ার ফোনও ১ জুলাই সারারাত ব্যস্ত ছিল। তাঁর ফোন থেকেও ঢাকা, করাচি ও আরবে কথা বলার প্রমাণ মিলেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, তাঁর এক খাস চাকরের নামে নথিভুক্ত ফোনে সেই রাতে কথা বলছিলেন তারেক জিয়া।
পত্রিকাটি বলেছে, বাংলাদেশ যে তথ্য পাঠিয়েছে তা বিশ্লেষণ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীও গুলশান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পাকিস্তান যোগের ব্যাপারে একমত। জঙ্গিরা শেখ হাসিনার উপর প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টা করছে বলেও ভারতীয় গোয়েন্দারা জেনেছেন। এক
একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি বলেছে, ‘বাংলাদেশে আগুন জ্বললে তাদের ও তাকে আঁচ পোয়াতে হবে। তাই সতর্ক থাকতে হচ্ছে নয়াদিল্লিকে।’ ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে জানিয়েছেন, ‘ঢাকাকে জঙ্গি দমনে সব রকম সহায়তা করা হবে।
– See more at: http://www.jamunanews24.com/bn/details.php?id=21446#sthash.9EGrZs8i.epDfBFtm.dpuf