অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো এ এক বিপদ নিয়ে হাজির হয়েছে। খবর শতভাগ নিশ্চিত না হয়েই কোনো একটা পোর্টালে প্রকাশিত হলে তার সূত্র ধরে ছড়িয়ে যাচ্ছে সারা পৃথিবীতে। কদিন আগে জিম্বাবুয়ের একটি নিউজ পোর্টাল খবর দিল, ধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অবস্থান করা হোটেল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা হলেও সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন ক্রিকেটার বলেই জানানো হলো খবরে।
এই খবর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে দ্রুতই। স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকেরা উদ্বেগে ভোগেন। তাহলে ক্রিকেটারদের পরিবারের অবস্থা চিন্তা করুন। গত রোববার এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর ফোনের পর ফোন এসেছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যদের কাছে। ক্রিকেটারদেরও বারবার ব্যাখ্যা করতে হয়েছে আসল ঘটনা কী হয়েছে। পরে জিম্বাবুয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিটি একজন ভারতীয় হলেও ক্রিকেটার বা ক্রিকেট দলের কেউ নন। তখনই পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেটার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, প্রকৃত ঘটনা পরে জেনেছে সবাই। আমাদের অনেকেই তো জানতামই না আসল ঘটনা কী ঘটেছে। তাই দেশে বাড়ি থেকে যখন ফোন আসা শুরু করল, আমরা অনেকেই চমকে গিয়েছিলাম। আমার কোনো কোনো বন্ধু তো ফোন করে এমনও বলল, “এ তুই কী করলি!” আমি তাই রেগেই গিয়েছিলাম। যখন কোনো মিডিয়া এভাবে প্রকৃত তথ্য যাচাই-বাছাই না করে খবর প্রকাশ করবে, সেটার জন্য যদি আমাদের এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়, সেটা তো খুবই বিরক্তিকর।’
গত রোববার নিউ জিম্বাবুয়ে নামের একটি পোর্টালে প্রথম খবর দেওয়া হয় ধর্ষণের অভিযোগে এক ভারতীয় ক্রিকেটার গ্রেপ্তার হয়েছেন। পরে এ নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়। এমনও শোনা যায়, ক্রিকেটার না হলেও তিনি দলের সঙ্গে সফর করা কোনো একজন। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ক্রিকেটার বা ক্রিকেট দলের কেউ নন; তিনি অন্য একজন। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের খবরে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিটি আসলে স্পনসর প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা।