SHARE

5455b05137002a9017e299ba0fe8bec0-Sabbirবোলাররা এশিয়া কাপের দুই ম্যাচেই লেটার মার্কসহ পাস। কিন্তু সামর্থ্যের পুরো প্রমাণ এখনো দিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। সৌম্য সরকার-সাকিব আল হাসানরা আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তা পারবেন? তাঁদের হয়ে যেন উত্তরটা দিলেন সাব্বির রহমান, যিনি নিজেও ব্যাটসম্যানদের প্রতিনিধি। কাল মিরপুরের ইনডোরে অনুশীলন শেষে দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যান-বোলার সবাইকেই শতভাগ দিতে হয়। আমাদের বোলিং ভালো হচ্ছে, এখন আমরা ব্যাটসম্যানরাও চেষ্টা করছি নিজেদের সেরাটা দিতে। কীভাবে ব্যাটিংয়ের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারি, সেটা নিয়েই চিন্তা করছি।’
এশিয়া কাপে মিরপুরের উইকেট বোলিংবান্ধব হলেও সাব্বিরের বিশ্বাস, সেরা ব্যাটিং করতে পারলে ১৭০-১৮০ রানও অসম্ভব নয় এখানে। বোলারদের কাজটা তখন আরও সহজ হবে। আর কে না জানে, ভালো খেলা দলই ম্যাচ জেতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনা কতটুকু জানতে চাইলে জানা কথাটাই আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার, ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সবাই ১৯-২০। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই যারা ভালো খেলবে, ম্যাচ তারাই জিতবে।’
তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কাগজ-কলমে ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে, সবার মতো সেটি মানেন সাব্বিরও। বিশেষ করে এই সংস্করণের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দলের দুর্বলতা এবার স্পষ্টই প্রমাণিত। কম ম্যাচ খেলাকেই এর কারণ বলছেন সাব্বির, ‘ভারতীয় দল ৫০-৬০টি (৬৫টি) আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছে। ওরা আইপিএলে খেলে অথবা ওদের দেশে অন্য অনেক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয়। আমাদের এখানে ওরকম টুর্নামেন্ট বেশি হয় না। আমরা এদিক থেকে পিছিয়ে আছি।’
২০০৬ থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছে ৫২টি। তবে ২০১৪’র ফেব্রুয়ারিতে অভিষেক হওয়ার পর সাব্বির গত দুই বছরেই খেলে ফেলেছেন ১৬টি টি-টোয়েন্টি। ২৭.৫৮ গড়ে রান করেছেন ৩৩১। দু-একটি ম্যাচ জেতানো ইনিংস তাঁকে টোয়েন্টি-বিশেষজ্ঞ হিসেবেও একটা পরিচিতি এনে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সাব্বির নিজে অবশ্য অনেক বিনয়ী, ‘আসলে এ মুহূর্তে আমি পারফর্ম করছি বলেই সবাই এটা বলেছে। কিছু খেলোয়াড় নিয়মিত ভালো খেলে, তখন তার কথাই বেশি বলা হয়। আমরা সব সময় চেষ্টা করি একটা দল হয়ে খেলতে। আমাদের ১১ জনেরই সব সময় চেষ্টা থাকে ভালো পারফরম করার।’