যুদ্ধাপরাধের বিচারে পাকিস্তানের গাত্রদাহ হচ্ছে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার অান্দোলনের অাহ্বায়ক ও নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, একশ পঁচানব্বই বা দুইশ চিহ্নিত পাক সেনা কেন এ সংখ্যা দুই হাজার হলেও তাদের সকলের বিচার করতে হবে।
বুধবার বিকেলে যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ গঠিত এই সংগঠনটি জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর স্মারকলিপি পেশ করতে যাওয়ার প্রাক্কালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাহজাহান খান বলেন, পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ চুক্তি অনুযায়ী চিহ্নিত ১৯৫ পাক সেনার বিচার, বাংলাদেশের জনগণের কাছে সে দেশের রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনা ও আর্থিক হিসাব নিকাশ মেটানোর কথা থাকলেও তারা সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। যেহেতু তারা চুক্তি ভঙ্গ করেছে সেক্ষেত্রে তাদের বিচারে আর কোনো বাধা নেই। এখন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত অনুযায়ী যত জনের নাম আসবে সবার বিচার হবে।
ইতোমধ্যে নতুন করে আরো বেশ কিছু পাক সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তথ্য পাওয়া গিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, একশ পঁচানব্বই বা দুইশ চিহ্নিত পাক সেনা নয়, এ সংখ্যা যদি দুই হাজারও হয় তাদের বিচার করতে হবে।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, শহীদের সংখ্যা, জাতির জনক, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতের বিপক্ষে কথা বলবে তাদের বিচারের জন্যও একটি আইন করার দাবি জানান তিনি।
পাকিস্তানের গা জ্বলা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা সবকিছুতেই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। জঙ্গিবাদীদের মদদ দিচ্ছে, স্বাধীনতা যুদ্ধে চালানো গণহত্যাকে অস্বীকারের চেষ্টা করছে।
অধ্যাপক আব্দুল মান্না চৌধুরী, ইসমত কাদির গামা, ওসমান আলী, কামরুল আলম সবুজ, রোকেয়া প্রাচী, আব্দুল মালেক মিয়া, বদরুদ্দোজা নিজাম, এম ফরিদুজ্জামান খান সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের উদ্দেশে একটি মিছিল নিয়ে রওনা হন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।