নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধপরাধ গণবিচার আন্দোলনের আহ্বায়ক শাজাহান খান বলেছেন, ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যর্থে যে বৈদেশিক অনুদান এসেছিল, তার প্রায় পুরো ভাগই পশ্চিম পাকিস্তানে থেকে যায়। হিসেব কষে পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে ওই অর্থ ফিরিয়ে আনা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন নামের সংগঠন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
পাকিস্তানের ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনা কর্মকর্তার বিচারের উদ্যোগ নেয়ায় আন্তর্জাতিক য্দ্ধুাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই ওই ১৯৫ জন অপরাধীর নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অচিরেই তাদের বিচার শুরু হবে।
শাজাহান খান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা ১৯৭১ সালের পাক-হানাদার বাহিনীর হিংস্রতার প্রতিরূপ। সেখানকার সহিংসতার ধরণ প্রমাণ করে এদেশে স্বাধীনতা ও বাঙালি চেতনা বিরোধী শক্তি এখনও সক্রিয়। তাদের পাকিস্তানপন্থি ভাবধারা এখনও অবিচল।
তিনি বলেন, পরিকল্পিভাবে হামলা চালিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ব্যাংক, শিল্পকলা একাডেমি, আওয়ামী লীগ কার্যালয়, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ চত্ত্বর, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন ও জাদুঘর ধ্বংস করা হয়ছে। এমন সভ্য সময়ে এই ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
ধর্মীয় ইস্যুকে পুঁজি করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। একইসঙ্গে তিনি সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।