বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের লাগাতার ধর্মঘট শুরু

SHARE

1625অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বৈষম্য নিরসনের দাবিতে সোমবার থেকে লাগাতার ধর্মঘট শুরু করেছেন ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

অর্থমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতিসমূহ পূরণ ও অন্য অসঙ্গতি দূর না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়েল সব ধরণের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট অধ্যাপকের ২৫ শতাংশ সিলেকশন গ্রেড পেয়ে গ্রেড-১-এ যেতে পারতেন। নতুন বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড তুলে দেয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গ্রেড-১-এ যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

বেতন স্কেলের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কার্যত তৃতীয় গ্রেড থেকেই তাদের অবসরে যেতে হবে। শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও গ্রেড-১ ও গ্রেড-২-এ যাওয়ার সুযোগ পাবেন, তবে সেই সংখ্যা আগের তুলনায় কমবে। এরপরে শিক্ষকেরা সপ্তম বেতন স্কেলের মতো সকল সুবিধা বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন করছেন।

অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার পর থেকেই বেতন বৈষম্য ও মর্যাদার অবনমনের প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ, কর্মবিরতি পালনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, গত ৯ মাস ধরে আমরা বেতন কাঠামোর ‘অসঙ্গতি-বৈষম্য’ দূর ও শিক্ষকদের সম্মানের দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ হয়নি। সোমবার থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

তবে কর্মবিরতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে শুধুমাত্র সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু একাডেমিক মিউ-টার্ম পরীক্ষাসহ অন্য সব শ্রেণির পরীক্ষা কর্মবিরতি চলাকালে স্থগিত থাকবে।