রমজানে বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান

SHARE

রায়পুর উপজেলায় রমজানে স্কুল বন্ধের সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে শিক্ষার নামে কোচিং বাণিজ্য করে একাধিক বিদ্যালয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। শিক্ষকদের ভয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় টানা বর্ষণের মধ্যে অত্যন্ত কষ্ট করে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজে ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্কুল পাঠাতে হচ্ছে। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে প্রথমিক চিকিৎসাও নিয়েছেন।

জানা গেছে, পৌর শহরের স্কুলগুলো বন্ধ থাকলেও উপজেলায় লুধুয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়, শামছুর নাহার উচ্চ বিদ্যালয়, রাখালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বামনী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়, হাদরগঞ্জ রোকেয়া হাসমতের নেছা বালিকা বিদ্যালয়, হামছাদি বিয়রগনর উচ্চ বিদ্যালয় ও কাজেরদিঘীরপাড় সমাজ কল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় রমজানে খোলা রেখে শিক্ষার নামে বাণিজ্য করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক করেছে। সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের নিয়মিত পাঠদান চলছে।

রমজানের শুরুতে টানা বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভিজে শিক্ষর্থীরা স্কুল আসছেন। এতে অনেকেই জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এছাড়াও এজন্য কোচিংয়ের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগও পাওয়া গেছে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানান, কোন কার00000-e1404705587600ণে স্কুলে না আসলে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখিয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে মুঠোফোনে তাদের চাপ দেয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের রোষানলের ভয়ে বাধ্য হয়ে তাদের অবৈধ নির্দেশ মেনে ইচ্ছার অমতে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে হচ্ছে। এজন্য শিক্ষকদের অতিরিক্তি ৪শ টাকাও দিতে হচ্ছে বলে জানান তারা।

এ ব্যপারে যোগাযোগ করা হলে লুধুয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আলমরীহ হোসেন বলেন, ‘স্কুলের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের কোচিং কার্যক্রম চলছে। এজন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু টাকা নেয়া হবে। সরকারি অনেক নির্দেশ থাকে সব মানা সম্ভব নয়। আপনি যেভাবে খুশি সেভাবে লেখেন আমি ক্লাস নিচ্ছি।

এদিকে কাজেরদিঘীরপাড় সমাজ কল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি বিধি মেনে স্কুল বন্ধ করা হয়েছে। রমজানে স্কুলে কোচিং কার্যক্রম চলছে। অতিরিক্ত কোনো টাকা নেয়া হচ্ছে না।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশের পর কোনো প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ক্লাস বা কোচিং করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এরপরও কোনো বিদ্যালয় খোলা রেখে ক্লাসের নামে কোচিং করা হলে খোঁজখবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আলম বলেন, ‘রমজানে সরকারিভাবে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান স্কুল খোলা রেখে কোচিং করে অতিরিক্ত টাকা নেয় তাহলে তদন্ত করে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’