সক্রিয় আওয়ামী লীগের সাইবার টিম

SHARE

স্বাধীনতা ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরাসহ মহল বিশেষের অপপ্রচার প্রতিরোধে শক্তিশালী করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ‘সাইবার টিম’।image_87050_0

দলের মন্ত্রী, এমপিসহ বিভিন্ন স্তরের দলীয় নেতাকর্মীদের আগে অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তেমন একটা সক্রিয় না থাকলে বর্তমানে দলের অধিকাংশ নেতারাই এখন সক্রিয় হয়েছেন। নেতাকর্মীরা ব্যাপক ভাবে অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার বিরোধী অপপ্রচারের জবাব দিচ্ছেন নিয়মিত।

দলের অনেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এমপি আছেন তারা নিয়োমিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সক্রিয় রয়েছেন এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের ছবিসহ তারা তাদের মন্তব্য তুলে ধরছেন। একই সাথে সরকার বিরোধী বিভিন্ন সমালোচনার জবাবও দিচ্ছেন তারা।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই বিএনপি-জামায়াতসহ একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক তথ্য প্রচার করছে। তাই ভার্চুয়াল এই প্রচারণায় নিজেদের অবস্থানও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সাইবার টিমকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। একইসঙ্গে এসব উস্কানিমূলক প্রচারের জবাব ও দল-সরকারের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারবদ্ধ হয় আওয়ামী লীগ। টানা দ্বিতীয় বার সরকার গঠন করা দলটি ডিজিটাল সেবা ও ব্যবহারে সবার চেয়ে এগিয়ে।

এই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধি করতে বসানো হয়েছে নেটওয়ার্ক টাওয়ার, তৈরি করা হচ্ছে তথ্য কেন্দ্র, গঠন করা হয়েছে তথ্য সেল ও সাইবার টিম। একদল তরুণ মেধাবী ছাত্রদের নিয়ে এ টিম গঠন করা হয়েছে।

এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় দেশের সাধারণ মানুষের কাছে দলীয় বার্তা পৌঁছে দিতে একটি ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসুবক পেজ চালু করেছে আওয়ামী লীগ।

দলীয় প্রচারণাকে আরও সক্রিয় এবং দলের বিভিন্ন কার্যক্রম সাধারণ মানুষকে অবহিত করতে এবং তাদের মতামত যাচাইয়ের জন্য ওয়েবসাইট ((www.albd.org), ইউটিউব চ্যানেল (http:/www.youtube.com/myalbd) এবং ফেইসবুকের (www.facebook.com/awamileague.1949) এ পৃষ্ঠা চালু করেছে দেশের এ রাজনৈতিক দল।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “ছাত্রলীগের কিছু মেধাবি তরুণদের নিয়ে এ সাইবার টিম গঠন করা হয়েছে। যারা ২০১৩ সালে নভেম্বর থেকে কাজ করছে। আমাদের তথ্য ও গবেষণা এবং প্রচার ও প্রকাশনা শাখা এই সাইবার টিমকে সার্বিক সহযোগিতা করছে।” তিনি বলেন, “সাইবার টিমটি বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন ব্লগে দলের পক্ষ থেকে এসব মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে কাজ করছে। এ ছাড়াও তারা বিভিন্ন সংবাদপত্র, বই, বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ, ছবি সংগ্রহ করে একটি তথ্য সম্ভার গড়ে তোলা হচ্ছে।”

সাইবার টিমের একজন সক্রিয় কর্মী জানান, তারা ফেসবুক ও অনলাইনে দলীয় প্রচার করেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে  যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার জবাব দেয়া হয়। এছাড়া সারাদেশে যেসব সহিংস ঘটনা ঘটছে সেগুলোর প্রমাণ সংগ্রহ করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংস্থার কাছে তা পাঠানো হয় । দল এবং সরকারের ভালো কাজের ওপর পোস্ট তৈরি করে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইন মাধ্যমে প্রচার করেন।

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, “দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে থেকে আাওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা শাখা নিয়ন্ত্রণাধীন সিআরআই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সক্রিয়। আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ওয়েবসাইট, ফেসবুকে পেইজ এবং ইউটিউব রয়েছে। যা দিয়ে দলীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন কর্মসূচি প্রকাশে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা হয়।”

অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় আওয়ামী যুবলীগ উপ-দপ্তর সম্পাদক নাসিম আল মোমিন রূপক জানান, “একজন আওয়ামী পরিবারের সক্রিয় সদস্য হিসাবে আমি নিয়মিত সরকারের বিভিন্ন সাফল্য ও অর্জন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে জনগনের কাছে তুলে ধরার চেস্টা করি। এবং সেই সাথে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামাতের বিভিন্ন প্রকার অপপ্রচারের জবাবও দিয়ে থাকি। শুধু আমি না, এখন আওয়ামী পরিবারের অনেক সদস্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সক্রিয় ভুমিকা পালন করছে।”–বাসস।